ঢাকা মহানগর উত্তরে এনসিপির সমন্বয় কমিটি, নেতৃত্বে আকরাম
Published: 1st, June 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করেছে। এই কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আকরাম হুসাইনকে। এর মধ্য দিয়ে এনসিপির ইউনিট পর্যায়ের কমিটি গঠন শুরু হলো।
সোমবার মধ্যরাতে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঢাকা মহানগর উত্তরের ১৩ সদস্যের সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী করা হয়েছে মোস্তাক আহমেদ শিশিরকে। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন ১১ জন।
এনসিপির এই কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পাওয়া আকরাম হুসাইন গত অর্ধযুগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ও শিক্ষার্থীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট দাবিদাওয়া আদায়ের বিভিন্ন আন্দোলনের পরিচিত মুখ।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী একসময় ছাত্র অধিকার পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের তৎকালীন সরকার ও দলটির ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা আকরাম কারাবরণও করেছেন।
জানতে চাইলে আকরাম হুসাইন প্রথম আলোকে বলেন, সমন্বয় কমিটির কাজ হবে ঢাকা মহানগর উত্তরের থানা পর্যায়ে এনসিপির কমিটি করা। রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে এনসিপির নিবন্ধনের আবেদনের শর্ত পূরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই সমন্বয় কমিটি করা হচ্ছে।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, এনসিপি ইউনিট পর্যায়ে প্রাথমিকভাবে সমন্বয় কমিটি করছে। পরবর্তী সময়ে আহ্বায়ক কমিটি করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে ১৫ নমুনায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় উদ্বেগ
রাজশাহীতে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের শরীরেই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের অধিকাংশই চিকিৎসক। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ৬০ শতাংশ। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস নিয়ে রাজশাহীতে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তিরা কয়েক দিন ধরে হালকা জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। সোমবার (২ জুন) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নয়জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খন্দকার মো. ফয়সল আলম বলেছেন, “কয়েক দিন ধরেই নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে। সোমবার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, তাদের মধ্যে ৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সম্ভবত সাতজন চিকিৎসক। সবাই হালকা উপসর্গে ভুগছেন, কিন্তু শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগছে। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষকরাই পরীক্ষাগুলো করছেন।”
অধ্যক্ষ আরো বলেন, “আক্রান্ত ব্যক্তিরা হাসপাতালে ভর্তি না হওয়ায় বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না। তবে, করোনা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে বয়স্ক ও ডায়াবেটিসসহ জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য। তাই, সতর্ক থাকা জরুরি। অন্তত ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা গেলে দ্রুত পরীক্ষা করানো উচিত। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে নমুনা জমা দিয়ে পরীক্ষাটি করা যায়। এ ক্ষেত্রে মাস্ক পরে আসা বাধ্যতামূলক এবং পরীক্ষার জন্য সরকারি ফি ১০০ টাকা নির্ধারিত। দুপুরের মধ্যে পরীক্ষার ফল পাওয়া যাচ্ছে।”
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেছেন, “বর্তমানে একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন, যার করোনা শনাক্ত হয়েছে। অনেকের পজিটিভ আসলেও শরীরের অবস্থা ভালো থাকায় তারা হাসপাতালে ভর্তি হননি। ভর্তি থাকা রোগীর চিকিৎসা যথাযথ প্রক্রিয়ায় চলেছে।”
ঢাকা/কেয়া/রফিক