'কেএনএফের' ইউনিফর্ম জব্দ: সাবেক এমপির ভাইসহ গ্রেপ্তার ৪
Published: 2nd, June 2025 GMT
পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন 'কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের' (কেএনএফ) ইউনিফর্ম উদ্ধারের ঘটনায় চট্টগ্রামের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুচ ছালামের ছোট ভাই তারেকুল ইসলামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারেকুল ইসলাম ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেডের পরিচালক। এটি সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুচ ছালামের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান ওয়েল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ছালাম ওয়েল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। তিনি আওয়ামী লীগ আমলে একাধারে নয় বছর সিডিএর চেয়ারম্যান ছিলেন।
গ্রেপ্তার অন্য তিনজন হচ্ছেন- তৌহিদুল ইসলাম, জামালুল ইসলাম ও মো.
গত মে মাসে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় চারদফা অভিযান চালিয়ে ৪৭ হাজার ৫৮৫ পিস ইউনিফর্ম ও ৩১৫ ফুট ইউনিফর্মের থান কাপড় জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে তিনটি। জড়িত ১৫ জনের নাম পেয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে থেকে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল হোতা হিসেবে মংহ্লাসিন মারমা ওরফে মং মারমাকে শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করতে পারতে পারেনি পুলিশ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক এনএফ আওয় ম ল গ এমপ গ র প ত র কর ইউন ফর ম ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।