পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন 'কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের' (কেএনএফ) ইউনিফর্ম উদ্ধারের ঘটনায় চট্টগ্রামের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুচ ছালামের ছোট ভাই তারেকুল ইসলামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তারেকুল ইসলাম ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেডের পরিচালক। এটি সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুচ ছালামের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান ওয়েল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ছালাম ওয়েল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। তিনি আওয়ামী লীগ আমলে একাধারে নয় বছর সিডিএর চেয়ারম্যান ছিলেন।

গ্রেপ্তার অন্য তিনজন হচ্ছেন- তৌহিদুল ইসলাম, জামালুল ইসলাম ও মো.

আতিকুর রহমান। তারা ওয়েল কম্পোজিট নিটের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে কেএনএফের ইউনিফর্ম তৈরির জন্য কাপড় সরবরাহের অভিযোগ এনেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন। তাদেরকে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত মে মাসে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় চারদফা অভিযান চালিয়ে ৪৭ হাজার ৫৮৫ পিস ইউনিফর্ম ও ৩১৫ ফুট ইউনিফর্মের থান কাপড় জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে তিনটি। জড়িত ১৫ জনের নাম পেয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে থেকে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল হোতা হিসেবে মংহ্লাসিন মারমা ওরফে মং মারমাকে শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করতে পারতে পারেনি পুলিশ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক এনএফ আওয় ম ল গ এমপ গ র প ত র কর ইউন ফর ম ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ