সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে লম্বা সময় ধরে ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে ছিলেন লামিনে ইয়ামাল। যদিও শেষ দিকে এসে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েন। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল থেকে বার্সেলোনার ছিটকে যাওয়াই মূলত কাল হয় ইয়ামালের।

তবে এবার না পারলেও ভবিষ্যতে বর্ষসেরার ব্যক্তিগত এই ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরতে চান ইয়ামাল। এমনকি সেটা হতে পারে আগামী বছরই। কীভাবে আগামী বছর ব্যালন ডি’অর জিততে পারবেন, এক সাক্ষাৎকারে সেটাও জানিয়েছেন ইয়ামাল।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এল পার্তিদাসো দে কোপে’কে এক দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল ব্যালন ডি’অর জয় নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন। আগামী বছর কীভাবে তাঁর হাতে ব্যালন ডি’অর উঠতে পারে, সে বিষয়ে ইয়ামাল বলেছেন, ‘যদি আগামী বছর আমি বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারি, তবে এরপর ব্যালন ডি’অরও আসবে।’

আরও পড়ুনরিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা নিয়ে যা বললেন ইয়ামাল ৮ ঘণ্টা আগে

ইয়ামালের কথা যদি সত্যি হয়, তবে আগামী বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতবে বার্সেলোনা এবং বিশ্বকাপ জিতবে স্পেন। আর দুই দলকে ট্রফি জিততে হলে ইয়ামালকে নিশ্চিতভাবেই বড় অবদান রাখতে হবে। এমন কিছু করতে পারলে শেষ পর্যন্ত ইয়ামালের হাতে আক্ষরিক অর্থেই উঠতে পারে ব্যালন ডি’অর।

গোল্ডেন বয়ের পুরস্কার হাতে ইয়ামাল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস

সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে দেশটির এল–ফাশের শহরের পতনের পর সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা শহরটিতে আটকা পড়েছেন। গতকাল শনিবার ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশের দখল করে নেয় আধা সামরিক বাহিনীটি। শহরটির পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুনসুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে২২ ঘণ্টা আগে

এল–ফাশের শহর থেকে যাঁরা পালিয়ে কাছের তাউইলা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালানোর কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, এল–ফাশেরে মা–বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষজন শহরটি থেকে পালানোর সময় তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ২৬ অক্টোবর থেকে ‍৬৫ হাজারের বেশি মানুষ শহরটি থেকে পালিয়েছেন।

শনিবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, এল–ফাশেরের বিপুল মানুষ ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছে। তাদের শহরটি ত্যাগ করতে দিচ্ছে না আরএসএফ ও তাদের সহযোগীরা। সংস্থাটির জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল ওলিভিয়ার লাচেরিটে বলেন, এল–ফাশের থেকে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা কোথায়? সম্ভাব্য উত্তরটা হলো—তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের হামলায় এল–ফাশেরে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, এল–ফাশেরে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।

সুদান ‘মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে শনিবার উল্লেখ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। বাহরাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরএসএফ। এরপরও এমন নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে সুদানের পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।

আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ