শ্রীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ২৩
Published: 3rd, June 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে পোশাক কারখানার আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষর ঘটনায় ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম।
এর আগে, শ্রমিক মৃত্যুর জেরে আজ সকালে উপজেলার নয়নপুর নতুন বাজার এলাকার জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানায় পুলিশ ও শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ১১ জন পুলিশ সদস্য ও অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হন বলে অভিযোগ ওঠে।
পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, “বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের মধ্যে থেকে এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা করা হবে।”
আরো পড়ুন:
শ্রীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত শতাধিক
ঝিনাইদহে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
শ্রীপুর থানার ওসি মো.
শ্রমিকদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহার ও মানসিক চাপে পড়ে মো. জাকির হোসেন নামে এক শ্রমিক সোমবার (২ জুন) রাত সাড়ে ৭টার দিকে কারখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। ঘটনার পর তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ৯টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জাকির নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাদে চিরাম গ্রামের মুক্তার উদ্দিনের ছেলে।
জাকিরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার সকালেই কারখানার শতাধিক শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় তারা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা এবং শিল্প পুলিশের একটি এপিসি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
কারখানার এজিএম জুবায়ের বাসার বলেন, “জাকির ছুটি চাইতে যাননি। তিনি পারিবারিক কলহে মানসিক চাপে ছিলেন এবং হতাশা থেকেই আত্মহত্যা করেছেন।”
শিল্প পুলিশের শ্রীপুর সাবজোন ইনচার্জ মো. আব্দুল লতিফ বলেন, “শ্রমিকরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং একটি এপিসি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়।”
ঢাকা/রফিক/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত আটক স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে ঠেলে দিলো বিএসএফ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে নারীসহ আটজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোরে তাদের আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি সদস্যরা। এসব তথ্য নিশ্চিত ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
আটককৃতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাজাহানপুর ইউনিয়নের শেখালিপুরের মো. গোলাব আলীর ছেলে মো. ফায়েক হোসেন (২৮), খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ডোমরা গ্রামের আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে মো. আজিম উদ্দীন (২৫), ঠাকুরগাঁও জেলার পরীগঞ্জ উপজেলার বেলহদী এলাকার শফির উদ্দিনের ছেলে রুস্তম আলী (৪৪), রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকমুক্তাপুর এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মো. মোফাজ্জেল হোসেন (৩৫), ওই জেলারই তানোর উপজেলার হরিদেবপুর এলাকার গোবরধন দাসের স্ত্রী দুঃখী দাস (৫৫);
খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ডোমরা আজিম উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. মিম খাতুন (১৯), নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনরানীপুর আতিকুর রহমানের ছেলে মোছা. রত্না আক্তার নুপুর (২২) ও বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার পিছি বারইখালী এলাকার ইব্রাহিমের স্ত্রী মোছা. নাদিরা খাতুন (৩৭)।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পুশইনের শিকার বাংলাদেশি নাগরিকরা ২০১৭-২৪ সালের বিভিন্ন সময়ে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের জন্য তাদেরকে ভারতীয় পুলিশ আটক করে। এই অবস্থায় তারা দীর্ঘদিন ভারতের মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিল। এরইমধ্যে মঙ্গলবার সকালে ভোলাহাটের চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে তাদের ঠেলে দেয় ভারতের বিএসএফ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, “মঙ্গলবার ভোরে আটজন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। এদের মধ্যে চারজন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছে। আটককৃতদের বিজিবির চাঁনশিকারী বিওপিতে রাখা হয়েছ। তাদের ভোলাহাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।”
এ ঘটনায় বেলা সাড়ে ১১টায় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা/শিয়াম/এস