গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের (জিআইজেএন) এপ্রিল–মে মাসের শীর্ষ প্রতিবেদনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে সমকালে প্রকাশিত ‘হোটেলে তল্লাশি চালাতে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ’ শীর্ষক অনুসন্ধান। গত ২৪ মে সমকালের প্রথম পৃষ্ঠায় এ খবর প্রকাশিত হয়। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৪ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও হোটেলকর্মীদের ভাষ্য, তল্লাশি চালানোর পর ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ কারণে যাত্রাবাড়ী থানা পাহারার দায়িত্বে থাকা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তিনজনকে আটক করে পেটায়। এতে দু’জনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন– যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী বড় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম ইয়াসিন (১৯) ও অনলাইনে পোশাক বিক্রেতা সাঈদ আরাফাত শরীফ (২০)। কিছু সময়ের ব্যবধানে আরেকটি ধর্ষণের অভিযোগে আবাসিক হোটেল রোজ ভিউর ব্যবস্থাপক রাহাত হাসান বিপুকে (৫৩) সায়েদাবাদ এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তখনকার কয়েকটি ভিডিওতে ভুক্তভোগী তরুণীর জবানবন্দি, অভিযুক্তদের নির্মমভাবে পেটানো এবং ক্ষমা চাওয়ার প্রমাণ রয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্তরা অপরাধ স্বীকার করেন। তখন তাদের পেটানো হয়। 

এদিকে নিহতদের মধ্যে দুজনকে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ দেখিয়ে নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান যাচাই কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, যেহেতু ওই ঘটনা ১৪ আগস্টের, তাই তাদের জুলাই শহীদ বলার সুযোগ নেই। এর পরও কোনোভাবে সাইদুল ইসলাম ইয়াসিন ও সাঈদ আরাফাত শরীফকে শহীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর ভিত্তিতে তাদের পরিবার ফাউন্ডেশন থেকে টাকাও নেন। 

জিআইজেএনের এপ্রিল–মে মাসের উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনের তালিকায় স্থান পেয়েছে আরও তিনটি প্রতিবেদন। সেগুলো হলো– যমুনা টেলিভিশনের ‘সরকারি এলপি গ্যাসে লুটপাট’; নিউ এইজের ‘সুবিধা নিয়ে সমালোচনার মুখে প্রধান উপদেষ্টা’ এবং প্রথম আলোর ‘নবাবদের দরিয়া–ই–নূর হীরার খোঁজে’। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বার্ন ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে ১ জন, আইসিইউতে ৩ জন

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে ৩৩ জন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে তিনজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) এবং একজন লাইফ সাপোর্টে আছেন।

সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।

তিনি জানিয়েছেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মাইলস্টোনে দগ্ধ ৩৩ জনের মধ্যে ২৭ জনই শিশু। তাদের মধ্যে তিনজন সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। ওই তিনজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। একটু কম গুরুতর ৯ জন সিভিআর ক্যাটাগরিতে আছে। 

ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আরো জানান, আজ সোমবার আরো তিনজনকে রিলিজ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে, আবহাওয়া খারাপ থাকায় তাদের ড্রেসিং দরকার মনে করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। চলতি সপ্তাহে আরো কয়েকজনকে পর্যায়ক্রমে ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

মাইলস্টোনে দগ্ধদের মধ্যে এখন পর্যন্ত জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৮ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা জানাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বার্ন ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে ১ জন, আইসিইউতে ৩ জন