Samakal:
2025-11-02@06:24:25 GMT

চরিত্র যখন নিজেই একটি কবিতা

Published: 3rd, June 2025 GMT

চরিত্র যখন নিজেই একটি কবিতা

একটি প্রেমের কবিতা
বিনয়কে নিয়ে আজ একটা লেখা তৈরি করা যায়
এটি খাবে ভালো, বাজারি লোকদের কাছে নামটি ওর
দিনপঞ্জিকার মতো জ্বলজ্বলে। পঁচিশ বছর লিখেও এতটা 
নাম করা যায় না। বিনয় কর্মকার,
তোমাকে ভীষণ দরকার।

ফ্ল্যাশব্যাক
বিনয়কে দেখা যাবে বটতলার নিচে, সকাল সাতটায়
তার মুখে পৃথিবীর মুখগুলি হাসিয়া বেড়ায়
বিনয়কে পাওয়া যাবে না, রাত বারোটায়
তখন সে চাঁদকোলে ঘুমঘোর যায়

পলিথিন ব্যাগে কাতলা মাছটার সাদা বুকে রোদ লেগে
চিক্ চিক্ করে উঠলেই সে বুঝতে পারে, এই বাবুর
অবশ্যই দরকার আছে। মাত্র দেড় টাকায় বিনয়কে
পাশে পাওয়া যায়। আজকাল যদিও আগের মতো নয়
যতটা বাহাত্তরে ছিল। রিকশা-ভ্যান আর মালগাড়ি
এসে বিনয়কে বিভক্ত করেছে। একচেটিয়া কারবার নেই,
মেয়ে দুটি ডাঙর হয়েছে। বউয়ের শাড়ি আছে তো
ব্লাউজ ছিঁড়েছে, পেটিকোট নেই। একটা হুইল সাবান চাই। 
দু’টাকার নারকেল তেল–
এতটুকু সুগন্ধ না হলে কি পাশে শোয়া যায়!
কাট স্ন্যাপ
হাড্ডিসার বিনয় কর্মকার, দ্রুত হাত রাখে চালের বস্তায়
পায়ে হাঁটা গাড়ি যত তাড়াতাড়ি পৌঁছানো যায়;
একটা শ্রমিক বিড়ির পথ, বিড়িটা মাগনা খায়
রোদে পোড়া আর বৃষ্টিভেজা বিনয়।

পথের মধ্যে খালি ব্যাগ হাতে
ছোট মেয়েটা দাঁড়াবে ঘড়িহীন ঠিক বারোটায়;
পথ যত হোক, বিনয়ের পা-গাড়ি দ্রুত চলে যায়

দুপুর গড়াতে থাকে, তার ভার কমে– গোলার দিঘিতে
আরও কিছু আলগা হয়ে যাওয়া সন্ধ্যায়
বউয়ের প্রতীক্ষা কাঁসার প্লেটে
ভাতের মতো জড়ো হয়;
বিনয়কে নিয়ে একটি প্রেমের কবিতা লেখা যায়
গত রাতে তাদের দুজনার ঘটনাসকল
বেওয়ারিশ করেছে নির্লজ্জ চাঁদ উত্তীর্ণ সন্ধ্যায়
অথচ এই ঘটনা একদিন প্রবাদিত হবে!

রানিং স্ন্যাপ
বারান্দাতে বিনয় ঘুমায়, ঘরের মধ্যে মেয়ে
বউয়ের মধ্যে ঘুমায় বিনয় চাঁদের দিকে চেয়ে

এই রাতে আর কী কী লেখা যায়?
একদিন বিনয়ের হাড়গোড় খোঁজা হবে
আমাদের প্রত্নপাড়ায় 
(রচনাকাল: ১৯৯৪ সাল)

এই কবিতাটি লিটল কিংবা বিগ কোনো পত্রিকায় ছাপা হয়নি। আমার প্রথম কবিতার বই উড়ে যাচ্ছ মেঘ-এ এর প্রথম মুদ্রণ। আপনারা নিশ্চয় কবিতা পড়ার পর বুঝে গেছেন যে কবিতাটি বিনয় কর্মকারকে নিয়ে লেখা। আমার অনেক পাঠকবন্ধু ‘কর্মকার’ শব্দটি না পড়ে মনের অজান্তে ‘মজুমদার’ পড়েছে। বিনয় কর্মকার আর বিনয় মজুমদার এক চরিত্র নয়। একজন কুলি। আরেকজন কবি। কবি হিসেবে বিনয় মজুমদার যেহেতু বাংলা ভাষার পাঠক সমাজে উত্তীর্ণ, ফলে বিনয় নামটি শোনার সাথে সাথে মজুমদার বসিয়ে দেয়। আর যারা বিনয় মজুমদারের কবিতা পড়েননি, তারা যখন এই কবিতাটি পড়েন, তখন ঠিকই বিনয় কর্মকার উচ্চারণ করেন। আমি বিনয় মজুমদারকে দেখিনি, তাঁর কবিতা পড়েছি। অবশ্য তাঁর কবিতা পড়ার অনেক অনেক আগেই আমি বিনয় কর্মকারকে দেখেছি। আরামের বিষয় হলো– এরা দুজনই প্রেমিক পুরুষ। একজন কুলি, আরজন কবি। যে বিনয় কুলি, সে প্রেম পেয়েছিল। আর যে বিনয় কবি, সে প্রেমের ব্যর্থতা কুড়িয়েছিল। তবে এ কবিতা বিনয় মজুমদারকে নিয়ে নয় বলে, তাঁর কথা এখানেই সাঙ্গ করি। যদিও শেষ করলেও তাঁর অবশেষ থেকে যায়।


বিনয় কর্মকার একদিন আমার কবিতার খাতায় জায়গা করে নিয়েছিল কীভাবে? তার কারণ আমি নিজেও ঠিক ব্যাখ্যা করতে পারব না। মানুষের জীবন এমনই এক অব্যাখ্যাত আখ্যান। বিনয় কর্মকারের শারীরিক গঠন ছিল এই প্রকারের– একটা লুঙ্গি মোচড় দিয়ে পরা নাভির নিচে। তার হাড়-মাংস সমান্তরালভাবে সজ্জিত। কোথাও একটু অযথা আধিক্য নেই। আজ আমরা যেসব শরীর বর্ণনা করতে যেয়ে বলি সিক্সপ্যাক বা ষড়রেখা। বিনয়ের শরীরেও সেই সিক্সপ্যাক উন্মুক্ত হয়ে ছিল। শরীরচর্চা করে নয়, জীবিকার জন্য পরিশ্রম করেই এই সিক্সপ্যাকের জন্ম হয়েছিল বিনয় কর্মকারের শরীরে। শীতকালে সে একটি বাবা গেঞ্জি পরত। গরমকালে লুঙ্গি ব্যতীত অন্য কোনো বস্ত্র তাকে পরিধান করতে দেখিনি। চুলগুলো কোঁকড়ানো। গোঁফ ছিল। কিন্তু দাড়ি কামাতেন নিয়মিত। গৈলার বাজারে তিনি একমাত্র কুলি। যাদের সাপ্তাহিক ক্রয়ক্ষমতার প্রাচুর্য ছিল, তারা এক সপ্তাহের বাজার করতেন। আর যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের কাছে বিনয়ের কোনো প্রয়োজন ছিল না। আমি যে সময়ের কথা লিখছি, সে সময়ে সাধারণত চাল-আটা কেউ কেউ এক মাসের জন্য ক্রয় করত। চল্লিশ সেরে এক মণ ছিল তখন। বিনয়কে সাধারণত চাল ও আটা বিক্রির গলিতে দেখা যেত, যেখানে একটি বটগাছ ছিল, তার নিচে বসে থাকতেন তিনি। অবশ্য বলতে ভুলে গেছি তার কাঁধে একটি গামছা থাকত, ঘাম মোছার জন্য। যারা এক মণ চালের বস্তা কিনতেন তাদের কাছেই বিনয়ের চাহিদা ছিল। কেউ কেউ এক মণ চাল তার ঘাড়ে তুলে দিয়ে একটি ইলিশ কিংবা বোয়াল মাছ হাতে ঝুলিয়ে দিতেন। এই দেওয়া লোক দেখানোর জন্য! বিনয় মাথায় করে বস্তা বইতেন না। ঘাড়ে বইতেন। সেই দৃশ্য যারা দেখেছেন, তারাই শুধু জেনেছেন, এ কথা যতভাবেই বলি না কেন, বিনয়কে পরিপূর্ণ বলা যাবে না। কারণ বিনয়ের নামটি কে দিয়েছিল, তা কোনোদিন তার কাছে জানতে চাইনি। আমি তখন হাফপ্যান্ট পরা ছোট্ট কিশোর। আমাদের বাড়িতেও বিনয় দা চালের বস্তা পৌঁছে দিতেন। তাকে কোনোদিনই দেখিনি দরাদরি করতে। অনেকেই তাকে ঠকিয়েছে। কিন্তু মাল পৌঁছে দেওয়ার পর, যা টাকাকড়ি দিতেন, তা-ই হাতে তুলে নিতেন। এই দৃশ্য আমি প্রকাশ্যে দেখেছি। এও দেখেছি, যদি কেউ কম দিতেন, কোনো কথা না বলে মুখে এক রকমের তাচ্ছিল্য ভাবের চিত্রকল্প এঁকে চলে আসতেন। ফলে বিনয় দার নামের সার্থকতা সেখানেও দেখেছি। 
বিনয় কর্মকার, আমার বিনয় দা এখন আর বেঁচে নেই। তাঁর পরিবার-পরিজন কে কোথায় আছে, তাও জানি না। মনে করি তিনি আমার কবিতায় এখনও বেঁচে আছেন। কত লোক তো অর্থ দিয়ে আত্মজীবনী লিখিয়ে নেন, পরের কালে বেঁচে থাকার আশায়। আসলে তিনি নিজেই এমন একটি কবিতা– আমি যার আত্মজীবনী লিখতে চেয়ে একটি কবিতা লিখেছিলাম– বিনার্থে, অর্থহীনতায়। জীবন এমনই হবে, হয়তোবা কাল যাকে দরকার ছিল চালের বস্তা ঘাড়ে করে পৌঁছে দেবে আমার বারান্দায়, আজ তাকে পেতে চাই মনের উঠোনে। কিন্তু এভাবে কি আর বিনয় কর্মকারকে পাওয়া যায়, কর্মকার পাড়ায়? v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ল র বস ত ব নয় ম র জন য ব নয় র র ব নয় ব নয় ক ব নয়ক

এছাড়াও পড়ুন:

শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা

বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। অভিনয় গুণে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি আয় করেছেন মোটা অঙ্কের অর্থও। রবিবার (২ নভেম্বর) ৬০ বছর পূর্ণ করে একষট্টিতে পা দেবেন এই তারকা।  

অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক নায়িকার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান। তাদের মধ্যে অন্যতম জুহি চাওলা। ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’, ‘রামজানে’, ‘ডর’, ‘ইয়েস বস’, ‘ডুপ্লিকেট’সহ আরো কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই জুটি। একসঙ্গে অভিনয় ছাড়াও, এই দুই তারকা বাস্তব জীবনে খুবই ভালো বন্ধু। কেবল তাই নয়, ব্যবসায়ীক অংশীদারও তারা। 

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তালিকায় সালমান খান কেন?

বন্ধু শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন জুহি। এ আলাপচারিতায় স্মৃতিচারণ তো করেছেনই, পাশাপাশি শাহরুখের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।  

শাহরুখের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের বিষয়ে জুহি চাওলা বলেন, “আমি যখন প্রথম ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হই, তখন সহপ্রযোজক বিবেক ভাসওয়ানি আমাকে বলেছিলেন, ‘আমার নায়ক দেখতে আমির খানের মতো।’ আমি শাহরুখকে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। দেখি, শাহরুখের চুল চোখের ওপরে নেমে এসেছে। আর সে একেবারেই আমার কল্পনার সেই ‘চকলেট বয়’ নয়! যখন কাজ শুরু করি, তখন বুঝতে পারি, সে একদম নতুন অভিনেতাদের মতো নয়, সে পরিশ্রমী, দিনে তিন শিফটে কাজ করছে।” 

একটি ঘটনা বর্ণনা করে জুহি চাওলা বলেন, “আমার মনে আছে, ‘ইয়েস বস’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়, কোনো দৃশ্য ঠিকমতো লেখা না থাকলে পরিচালক আজিজজি (আজিজ মির্জা) বলতেন, ‘শাহরুখ আসুক, সব ঠিক হয়ে যাবে।’ রোমান্স আর মজার মিশেলে থাকা দৃশ্যগুলো আমাদের সবচেয়ে ভালো ছিল। সেই সূত্রেই আমরা অনেকগুলো সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছি।” 

শাহরুখের পাশে অবস্থান করলে সাবধান থাকার কথার কথা বলেছেন জুহি। হাসতে হাসতে এ অভিনেত্রী বলেন, “শাহরুখের আশেপাশে থাকলে সাবধানে থাকবেন। কারণ সে কথা দিয়ে আপনাকে যেকোনো কিছু করাতে রাজি করিয়ে ফেলতে পারে। ওর কথাবলার ভঙ্গি এমন যে, আপনি ‘না’ বলতেই পারবে না। আমি ‘ডুপ্লিকেট’ সিনেমা করতে চাইছিলাম না, কারণ সেখানে আমার তেমন কিছু করার ছিল না। আমরা তখন আরেকটি সিনেমার শুটিং করছিলাম, আর শাহরুখ আমাকে সিঁড়িতে বসিয়ে দুই ঘণ্টা বোঝায় এবং আমি সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হই। সে আপনাকে যেকোনো কিছু করতে রাজি করাতে পারে, তাই সাবধানে থাকবেন।” 

শাহরুখ খানের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়ে জুহি চাওলা বলেন, “অফস্ক্রিনে আমাদের সম্পর্কেও উত্থান-পতন রয়েছে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা কোনো না কোনোভাবে আমাদের যুক্ত রেখেছেন, এমনকি আইপিএলের মাধ্যমেও। আমাদের বন্ধন কোনো পরিকল্পনার ফল নয়, এটা একেবারেই ভাগ্যের ব্যাপার।” 

শাহরুখ খানের সঙ্গে আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) সহ-মালিক জুহি ও তার স্বামী জয় মেহতা। এই দলের পেছনে জুহি বিনিয়োগ করেছেন ৬২৯ কোটি রুপি। বর্তমানে এই দলটির মূল্য আছে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি রুপি। শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘রেড চিলিস গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা করেন জুহি। 

১৯৬৫ সালে ২ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শাহরুখ খান। তার শৈশবের প্রথম পাঁচ বছর কেটেছে ম্যাঙ্গালুরুতে। শাহরুখের দাদা ইফতিখার আহমেদ স্থানীয় পোর্টের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। যার কারণে সেখানে বসবাস করেন তারা। শাহরুখের বাবার নাম তাজ মোহাম্মদ খান, মা লতিফ ফাতিমা। 

দিল্লির হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন শাহরুখ খান। তারপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে গণযোগাযোগ বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন। কিন্তু অভিনয় জীবন শুরু করার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। তবে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরুর দিকে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-তে ভর্তি হন এই শিল্পী। 

১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ। 

একই বছর ‘চমৎকার’, ‘দিল আসনা হে’ ও ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করেন শাহরুখ। তার পরের বছর ‘ডর’ ও ‘বাজিগর’ সিনেমায় অভিনয় করে নিজের জাত চেনান শাহরুখ। তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ হন কোটি ভক্ত; পৌঁছে যান সাফল্যের চূড়ায়। তার অভিনয়ের খ্যাতি আরো বাড়তে থাকে যশরাজ ফিল্মসের সিনেমায় ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে। একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন শাহরুখ। যদিও তার এই সফলতার জার্নির গল্প মোটেও সহজ ছিল। আর সে গল্প সবারই জানা। 

অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন শাহরুখ খান। তার মধ্যে মোট পনেরোবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। এর মধ্যে আটবার সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। হিন্দি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন মোট পাঁচবার। তবে শাহরুখ খানের ৩৩ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অধরা ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলতি বছর ‘জওয়ান’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ