কোরবানির গরু নিয়ে ফেরার পথে ডাকাতের হামলা, তরুণ নিহত
Published: 4th, June 2025 GMT
কক্সবাজারের রামুতে কোরবানির গরু নিয়ে ফেরার পথে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এক তরুণ প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দু’জন। গত সোমবার রাত ১টার দিকে রামু-গর্জানিয়া সড়কে ফরেস্ট অফিস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সালাউদ্দিন পারভেজ (১৮) রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ফুলনিরচর এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে। আর আহতরা হলেন– রামুর আলী হোসেন সিকদার পাড়া এলাকার গরু ব্যবসায়ী আহমদ হোসেন ও একই এলাকার আহমদ হোসেনের ছেলে একরাম।
আহত আহমদ হোসেনের ছেলে জানান, তাঁর বাবাসহ সাত-আটজন গর্জানিয়া থেকে দুটি গরু কিনে রামুর কলঘর বাজারে ফিরছিলেন। পথে কাউয়ারখোপে ফরেস্ট অফিস এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয় জাহেদের নেতৃত্বে কয়েক যুবক গরু দুটি ছিনিয়ে নেয়। ঘটনা জানতে পেরে পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। এর পর ঘটনাস্থল থেকে গরু দুটি উদ্ধার করে আহমদ, তাঁর দূর সম্পর্কের শ্যালক পারভেজসহ অন্যরা কলঘর বাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। কিছু দূর এগোনোর পর পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায় ডাকাত দল। গরু দুটি ফের তারা ছিনিয়ে নেয়। এ ছাড়া ধারালো দা আর ছুরি দিয়ে পারভেজ, আহমদ ও একরামকে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন। আর একরাম ও আহমদকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান।
রামু থানার ওসি মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান জানান, ডাকাত দলের একজনকে ধরেছিল স্থানীয়রা। তাকে ছাড়িয়ে নিতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ডাকাত দলটি। ডাকাতদের ধরতে অভিযান চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব