কক্সবাজারে বড় গরুর বিক্রি কম, খামারিদের দুশ্চিন্তা
Published: 4th, June 2025 GMT
কক্সবাজারে কোরবানির পশুর হাটে বেচাকেনা জমে উঠছে। হাটে চাহিদা বেশি ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর। ১০ থেকে ২৮ মণ ওজনের অনেক ষাঁড় বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসা হলেও এসবের ক্রেতা মিলছে কম।
জেলার ৪টি পৌরসভা ও ৯টি উপজেলায় পশুর হাট রয়েছে ৯৪টি। এসব হাটে গতকাল মঙ্গলবার অন্তত ২০ হাজার কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে বলে ইজারাদার সূত্রে জানা গেছে। হাট–সংশ্লিষ্টদের দাবি, আজ বুধবার থেকে বিক্রি আরও বাড়বে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাট এলাকার অস্থায়ী পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম হয়ে উঠেছে বাজার। হাটে বিক্রির জন্য আনা হয়েছে ৫ শতাধিক পশু। এর মধ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৮ মণ ওজনের গরু। এসব গরু ১ থেকে ২ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাটে বড় আকারের অনেক ষাঁড় দেখা যায়। এসব ষাঁড় ঘিরে দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি। তবে দরদামেই সীমাবদ্ধ থাকছেন ক্রেতারা।
শহরের সমিতিপাড়ার ‘মায়ের দোয়া’ খামারের মালিক নুরুল ইসলাম হাটে আনেন ১০ থেকে ২৮ মণ ওজনের ১০টি গরু। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ২৮ মণ ওজনের ষাঁড় ‘কালা বাহাদুর’। এটি ঘিরে দেখা গেছে উৎসুক মানুষের ভিড়। খামারি নুরুল ইসলাম (৫৩) বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত কালা বাহাদুরের দাম উঠেছে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। এই দামে বিক্রি সম্ভব নয়। তবে তাঁর আশা, আগামী কয়েক দিনে ষাঁড়টির ন্যায্য দাম পাবেন।
হাটে বড় গরুর তেমন ক্রেতা নেই। কোরবানির জন্য লোকজন মাঝারি আকারের গরু কিনছেন বেশি। বড় গরু বেচাবিক্রি না হলে কয়েক হাজার খামারি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেনখলিলুর রহমান, স্বত্বাধিকারী, কে আর এগ্রো ফার্মএকই হাটে বিক্রির জন্য ২৮টি গরু নিয়ে আসেন কক্সবাজার পৌরসভার বিজিবি ক্যাম্প এলাকার কে আর এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী খলিলুর রহমান। গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিক্রি করেন দুটি গরু। ৫ মণ ওজনের একটি গরু দেড় লাখ টাকা এবং সোয়া চার মণ ওজনের আরেকটি গরু ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। খলিলুর রহমান (৫৫) বলেন, হাটে বড় গরুর তেমন ক্রেতা নেই। কোরবানির জন্য লোকজন মাঝারি আকারের গরু কিনছেন বেশি। বড় গরু বিক্রি না হলে কয়েক হাজার খামারি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। হাটের ইজারাদার রাশেদুল হক বলেন, মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় ১২০টি গরু বিক্রি হয়েছে। আজ বুধবার থেকে প্রতিদিন বিক্রি হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামুর মিঠাছড়ির হাঁড়িরমাথা এলাকার পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে কোরবানির পশু বিক্রির হাট বসেছে। গতকাল মঙ্গলবার এক দিনে এই হাটে বিক্রি হয়েছে ৪ হাজারের বেশি গরু-মহিষ। হাটে আনা হয় ২০ হাজারের বেশি পশু। ইজারাদার আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি আকারের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় পশুর ক্রেতা একেবারেই কম। জেলার উখিয়া, টেকনাফ, রামু, কক্সবাজার সদর ও ঈদগাঁও উপজেলার অন্তত ১৫টি হাট ঘুরেও দেখা যায় একই চিত্র।
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামুর মিঠাছড়ির হাঁড়িরমাথা পশুর হাট.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মণ ওজন র ক রব ন র র জন য গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”
জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।
ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”
ঢাকা/শাহেদ