বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি, ঈদের দিনেও সম্ভাবনা
Published: 5th, June 2025 GMT
সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে মৌসুমী বায়ু। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণ, কয়েক স্থানে পাহাড় ধস
ভূমিধসের শঙ্কা, লামায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (৬ জুন) ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ।
আবহাওয়াবিদ ড.
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী শনিবার (৭ জুন)। ওইদিন দেশের বেশিরভাগ জায়গায় আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক ও আরামদায়ক। তবে, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, ওদিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্রা অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঈদের পরদিন রবিবার (৮ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ঈদের তৃতীয় দিন সোমবার (৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আগামী পাঁচদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তাপমাত্রা কমতে পারে।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধরন র ব ষ ট সহ ব ষ ট পরবর ত
এছাড়াও পড়ুন:
মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ
প্রথম দিনের ব্যাটিং ধারাবাহিকতা ধরে রেখে জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আব্দুল মজিদ। তাদের দুজনের সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনে ৮ রানের আক্ষেপে পুড়েছেন মুমিনুল হক।
রোববার (০২ নভেম্বর) কক্সবাজারের মূল মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যাটসম্যান মুমিনুল নামের পাশে ৮৪ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন। কিন্তু ৮ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৯২ রানে তাকে বোল্ড করেন বরিশাল বিভাগের পেসার রুয়েল মিয়া। গতকাল প্রথম দিন ৪ উইকেটে ২৬০ রান তুলেছিল চট্টগ্রাম। আজ ৬ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান যোগ করতে পারে তারা। মুমিনুল ফেরার পর নাঈম হাসান ৩৫, হাসান মুরাদ ২৮ রান করেন। বরিশাল বিভাগের হয়ে বল হাতে অধিনায়ক তানভীর ইসলাম ৫৬ রানে ৪ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রুয়েল ও মঈন খান। জবাব দিতে নেমে ২ উইকেটে ১১৫ রান তুলে দিন শেষ করেছে বরিশাল। সালমান হোসেন ইমন ৪৭ ও জাহিদুজ্জামান খান ১৩ রানে অপরাজিত আছেন।
আরো পড়ুন:
স্বীকৃতির ১০ বছর পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে কে কোন পুরস্কার পেলেন
পাশের একাডেমি মাঠেই রংপুরের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে ময়মনসিংহ। নাঈম ও মাহফিজুল প্রথম দিন সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। আজ মজিদ তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৮ রানে দিন শুরু করে ১১৯ রানে অপরাজিত থাকেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ১৮৬ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় মজিদ সাজান ইনিংসটি। এছাড়া শুভাগত হোম ৬৫ ও আবু হায়দার রনি ৬০ রান করেন। ৩৪ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ঝড় তোলেন রনি। জবাব দিতে নেমে রংপুরের শুরুটা ভালো হয়নি। ২ উইকেট হারিয়ে তাদের রান ১৮। এখনও তারা ৫৩৭ রানে পিছিয়ে।
ঢাকায় মিপুর শের-ই-বাংলায় খুলনার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে রাজশাহী বিভাগ। খুলনার করা ১২১ রানের জবাবে রাজশাহী তোলে ২৬৮ রান। পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ৬৮ রান তুলেছে খুলনা। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন শাকির হোসেন শুভ্র। ১৭২ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৯ রান করেন তিনি। এছাড়া ৪৭ রান করেন প্রীতম কুমার। দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পাননি খুলনার ওপেনার সৌম্য সরকার। নাহিদ রানার বলে আউট হওয়ার আগে ১০ রান করেন তিনি। এনামুল ২৭ ও অমিত ১৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।
সিলেটে সেঞ্চুরি করেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। আগের দিনই ধৈর্য দেখিয়েছিলেন মাহিদুল। আজ ইনিংসটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেন। ১২২ রান করেন তিনি। তার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে সিলেটের বিপক্ষে ৩১০ রান করে ঢাকা বিভাগ। মাহিদুলকে সঙ্গ দিয়ে আটে নাসা সুমন খান ৭৪ রান করেন। সিলেটের হয়ে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন ইবাদত হোসেন ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ। জবাব দিতে নেমে বিনা উইকেটে ৩৩ রান তুলে দিন শেষ করে স্বাগতিকেরা। সৈকত আলী ১৮ ও জাকির হাসান ১৫ রানে অপরাজিত আছেন।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল