পারিবারিক কলহের জের ধরে এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম ওসমান গণি (৫০)। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন গরুর বাজারে ঢুকে শ্বশুরকে হত্যা করেন জামাতা মোহাম্মদ হোসেন।

হোসেন যে হত্যা করেছেন, তা নিশ্চিত হয়েছে রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশ। এ ঘটনার পর হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তিনিও হত্যার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। নিহত ওসমান গণির বাড়ি উপজেলার শিলক ইউনিয়নের রাজাপাড়া গ্রামে। আর জামাতা মোহাম্মদ হোসেনের বাড়ি সরফভাটা ইউনিয়নের পূর্ব সরফভাটা গ্রামে।

রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কবির মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, ওসমান গণির দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। এক মেয়ের জামাতা মোহাম্মদ হোসেন (৪০)। হোসেন দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। কিছুদিন আগে দেশে ফিরে আসেন। এরপর তাঁদের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আজ বাজারে ঢুকে শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যা করেন হোসেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, নিজের ৩টি গরু নিয়ে হাটে গিয়েছিলেন ওসমান গণি। দুটি বিক্রি করেছিলেন। আর একটি বিক্রির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। এমন সময় প্রকাশ্যেই মোহাম্মদ হোসেন কুপিয়ে হত্যা করেন তাঁকে। ঘটনাস্থলেই ওসমান গণির মৃত্যু হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”

জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ