প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস বলেছেন, “আমরা সার্বিক বাজার ব্যবস্থাকে দুর্বৃত্তচক্র থেকে বের করে এনে বাজারে একটা প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছি। জনগণকে নায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিতে সরকারের সবরকমের চেষ্টা অব্যাহত আছে।”

শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই কোরবানির ঈদেও দেশবাসী যাতে নির্বিঘ্নে নিজেদের দেশের বাড়িতে যাতায়াত করতে পারেন, সেজন্য সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছেন। ঈদের ছুটির মধ্যেও বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।”

আরো পড়ুন:

লুটপাট থেকে দেশের মানুষকে বের করে আনার চেষ্টা করছি: প্রধান উপদেষ্টা

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলে

“কোরবানির পশুর চামড়া থেকে অর্জিত আয়ে আমার-আপনার দরিদ্র আত্মীয়-পরিজন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও দেশের লাখ লাখ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী উপকৃত হয়। আমাদের গরিব স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাদের হক যেন ঠিক ঠিক বুঝে পায়, সেদিকে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। তবেই এই উৎসবটি হয়ে উঠবে ধনী-গরিব সবারই উৎসব।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি কাজ করছে। একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। কোরবানির চামড়া সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা, অভিযোগ ও পরামর্শ এই হটলাইনের নম্বরে ফোন করে নেওয়া যাবে। আমরা এ বছর কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে ৩০ হাজার টন লবণ বিনামূল্যে সরবরাহ করেছি।”

পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে সমবেতভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রব ন র ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের নামাজ শেষে শুরু হয়েছে পশু কোরবানি

সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন।

শনিবার সকালে পাড়া-মহল্লায় ঈদের নামাজ শেষে নিজ-নিজ পশু কোরবানি করছেন রাজধানীর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

সরেজমিনে ঢাকার প্রতিটি অলিগলিতেই পশু কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়ে। কোথাও বাসার নিচের গ্যারেজে, কোথাও বাসার সামনের রাস্তায়, আবার কোথাও এলাকার ফাঁকা মাঠের মধ্যে পশু কোরবানি চলছে।

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মো. সাদেকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আল্লাহর নামে কোরবানি দিচ্ছি। ইতোমধ্যে গরু জবাই হয়ে গেছে। আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের আশায় এই কোরবানি দেওয়া। কবুল করার মালিক আল্লাহ।

রামপুরার বাসিন্দা গোলাম ফারুক বলেন, আমরা সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের নামাজ আদায় করেছি। তারপর ঈদগাহ মাঠ থেকে এসে কোরবানি দিয়েছি।

তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে তাওফিক দান করেছে তাই আমি কোরবানি দিচ্ছি। কোরবানি শেষে ইসলামের রীতিনীতি অনুযায়ী গোস্ত বণ্টন করবো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ