ঈদের আগে আরেক দফা বাড়ল সোনার দাম, ভরি এখন ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা
Published: 6th, June 2025 GMT
কোরবানি ঈদের আগে দেশের বাজারে আরেক দফা সোনার দাম বাড়ল। এ দফায় ভরিতে সর্বোচ্চ দাম বেড়েছে ২ হাজার ৪১৫ টাকা। তাতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা। নতুন এই দাম আজ শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর কথা জানায়। বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে বিশুদ্ধ সোনার (পিউর গোল্ড) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
সর্বশেষ গত ২১ মে দেশের বাজারে সর্বশেষ সোনার দাম বেড়েছিল। তাতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের ১ ভরি সোনার দাম বেড়ে হয়েছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা। গতকাল রাত পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দেশে সোনার দাম ভরিতে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩৪২ টাকা বেড়েছিল। তখন ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হয়েছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। দেশের বাজারে সেটিই ছিল এখন পর্যন্ত সোনার সর্বোচ্চ দাম।
বাজুসের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আজ শুক্রবার থেকে দেশের বাজারে হলমার্ক করা প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট মানের সোনা ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৭ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৪০ টাকা।
দেশের বাজারে গতকাল রাত পর্যন্ত প্রতি ভরি হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সেই হিসাবে ২২ ক্যারেট সোনায় ২ হাজার ৪১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটে ২ হাজার ২৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ১ হাজার ৯৭১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনায় ১ হাজার ৬৯১ টাকা দাম বেড়েছে।
গত বছর কোরবানি ঈদের সময় ২২ ক্যারেট মানের সোনার ভরি ছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ভরিতে সোনার দাম বেড়েছে প্রায় ৫৬ হাজার ৮৮৬ টাকা।
ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় সোনার এই মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এ কারণে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে আগের তুলনায় সোনার গয়না কেনার পরিমাণ কমেছে। তবে ধনীদের সোনা কেনার পরিমাণ আবার বেড়েছে। নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে অনেক ধনী ব্যক্তি সোনা কিনে রাখছেন। আবার অনেকে বাড়তি দাম পেয়ে সংগ্রহে থাকে পুরোনো সোনার গয়না বিক্রি করছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২২ ক য র ট
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।
আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগেএ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।
আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে