ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। অভিনয় ও শরীরি সৌন্দর্যে ভক্তদের মুগ্ধ করেছেন। সার্চ ইঞ্জিন গুগলে ‘ভারতের জাতীয় ক্রাশ ২০২০’ নির্বাচিত হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন রাশমিকা। দক্ষিণী সিনেমার পাশাপাশি বলিউডেও নিয়মিত অভিনয় করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে থাকেন রাশমিকা। দক্ষিণী সিনেমার সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেত্রীদের তালিকায়ও তার নাম রয়েছে। কিন্তু কত টাকার মালিক রাশমিকা?
ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা ৬৬ কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৪ কোটি ১২ লাখ টাকা) মালিক। ‘পুষ্পা’ সিনেমায় আল্লু অর্জুনের বিপরীতে শ্রীবল্লী চরিত্রে অভিনয় করেন রাশমিকা মান্দানা। এ সিনেমা তাকে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি এনে দেয়। সিনেমাটির জন্য ১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন এই অভিনেত্রী। সাধারণত, প্রতি সিনেমার জন্য রাশমিকা নিয়ে থাকেন ৪-৮ কোটি রুপি।
আরো পড়ুন:
বক্স অফিসের দৌড়ে কী ক্লান্ত সালমান-রাশমিকা?
কত টাকা আয় করল সালমান-রাশমিকার সিনেমা?
সিনেমা ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েও মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করে থাকেন রাশমিকা। প্লামের মতো প্রসাধনী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগও করেছেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে তার বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে; যার মূল্য ৮ কোটি রুপি। এছাড়াও মুম্বাই, গোয়া কুর্গ ও হায়দরাবাদে রাশমিকার সম্পদ রয়েছে।
অন্য তারকাদের মতো গাড়ির প্রতি টান রয়েছে রাশমিকার। তার গ্যারেজে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন মডেলের বিলাসবহুল গাড়ি। যেমন: অডি কিউ৩, রেঞ্জ রোভার স্পোর্টস, টয়োটা ইনোভা, হুন্দাই ক্রেটা এবং একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ সি-ক্লাস।
আইএমডিবির তথ্য অনুসারে, একের পর এক সফল সিনেমা উপহার দিচ্ছেন রাশমিকা মান্দানা। তার অভিনীত ‘ছাবা’ সিনেমা বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলে। পিরিয়ড-ড্রামা ঘরানার সিনেমাটির জন্য রাশমিকা পারিশ্রমিক নেন ৪-৮ কোটি রুপি।
মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন রাশমিকা মান্দানা। ২০১২ সালে ‘ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ার ফ্রেস অব ইন্ডিয়া’ খেতাব জেতেন তিনি। ২০১৬ সালে কন্নড় ভাষার ‘কিরিক পার্টি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। অভিষেক এ চলচ্চিত্রের জন্য সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন এই অভিনেত্রী।
এরপর ‘চালো’ সিনেমার মাধ্যমে তেলেগু সিনেমায় অভিষেক হয় রাশমিকার। অল্প সময়ের মধ্যে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি। ‘গীতা গোবিন্দম’, ‘ডিয়ার কমরেড’, ‘সারিলেরু নীকেবারু’, ‘পুষ্পা’ ‘অ্যানিমেল’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।
রাশমিকা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সিকান্দার’। এতে সালমান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। বর্তমানে রাশমিকার হাতে রয়েছে— ‘কুবেরা’, ‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’, ‘থামা’ সিনেমার কাজ। এর মধ্যে ‘কুবেরা’ সিনেমার পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। ‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’ সিনেমার শুটিং সম্পন্ন করেছেন। আর ‘থামা’ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।