বান্দরবানে ঈদের ছুটি কাটাতে আগামীকাল রোববার থেকে পর্যটকেরা আসা শুরু করবেন। আবাসিক হোটেল, মোটেল ও অবকাশযাপনকেন্দ্রগুলোতে কাল থেকে আগাম বুকিং রয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এবার রুমা ও থানচিতে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশা করছেন পর্যটনসংশ্লিষ্টরা।

পর্যটনকেন্দ্র পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের পরদিন থেকে পর্যটক আসা শুরু হবে। অনেকেই বাড়িতে ঈদ উদ্‌যাপন করে ছুটি কাটাতে বের হন। সবচেয়ে বেশি ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সোমবার থেকে।

হোটেল, মোটেল ও অবকাশযাপনকেন্দ্রগুলোতে সোম, মঙ্গল ও বুধবারের জন্য ৮০ শতাংশ কক্ষ ইতিমধ্যে আগাম বুকিং হয়েছে।

বান্দরবান বাসস্টেশনসংলগ্ন হিল ভিউ হোটেলের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, ‘আমাদের হোটেলের প্রায় ৭৫ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। রুমা ও থানচিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় বুকিং ছাড়া অনেকেই, বিশেষ করে তরুণেরা আসতে পারেন। তরুণ-তরুণীরা সাধারণত আগাম বুকিং না করে সরাসরি থানচি ও রুমায় ভ্রমণে যান।’

বান্দরবান সদর এলাকার মেঘলায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেলের সব কক্ষ সোমবার থেকে চার দিনের জন্য বুকিং হয়ে গেছে। পাশের হলিডে ইন অবকাশযাপনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক বাহাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কিছু কক্ষ এখনো বুকিং হয়নি। তবে জরুরি প্রয়োজনে দুই-একটি কক্ষ ফাঁকা রাখা হয়।’

জেলা শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে বান্দরবান-চিম্বুক-থানচি সড়কের সাইরু রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আতিকুর রহমান জানান, তাঁদের হোটেলে আজও পর্যটকের ভিড় ছিল। কাল থেকে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।

লামার মিরিঞ্জা পাহাড় ও আলীকদমেও ৯ জুন থেকে পর্যটকের ভিড় বাড়বে বলে জানিয়েছেন লামা পর্যটন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইরাক হোসেন।

দীর্ঘদিন পর রুমা ও থানচিতে পর্যটকদের জন্য ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা গতকাল শুক্রবার থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। থানচি ট্যুরিস্ট গাইড সমিতির সভাপতি মো.

মামুন বলেন, ‘আমরা পর্যটকের অপেক্ষায় আছি। প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। কাল থেকে পর্যটকেরা আসতে শুরু করবেন।’

জেলা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন বলেন, আজ (শনিবার) পর্যন্ত বান্দরবান জেলা শহরের হোটেল, মোটেল ও অবকাশযাপনকেন্দ্রগুলোর ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়েছে। জেলা শহরে একসঙ্গে প্রায় ছয় হাজার পর্যটকের আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।

জেলা পর্যটন পুলিশের পরিদর্শক সৈকত কুমার রায় বলেন, পর্যটকেরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ঘুরতে পারেন, সে জন্য সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ব যবস থ ব ন দরব ন আগ ম ব ক

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ