কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকে মারধর, আটক ১
Published: 10th, June 2025 GMT
গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অনুপম বাড়ৈকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোহেল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন হাসপাতালের কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ঘটনাটি ঘটে।
কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মৃদুল কুমার দাস জানান, ৩-৪ দিন আগে সোহেল হাওলাদার তার গর্ভবতী স্ত্রীকে কোটালীপাড়া ১০০-শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তান মারা গেছে এমন রিপোর্ট দেওয়া হয় তাকে। স্ত্রীকে সঠিক চিকিৎসা না দেওয়ায় তার সন্তান মারা গেছে এমন অভিযোগ এনে জরুরি বিভাগের দরজা বন্ধ করে চিকিৎসক অনুপম বাড়ৈকে রডের পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন সোহেল হাওলাদার। পরে কর্মচারীরা দরজা ভেঙে চিকিৎসককে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদারকে আটক করে পুলিশ দেয়।
আরো পড়ুন:
হাসপাতালে ঢুকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠকসহ ১০ জনকে পিটুনি
পানি নিষ্কাশন নিয়ে বিরোধে প্রাণ গেল বৃদ্ধের
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহত চিকিৎসককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের কর্মচারীরা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চিকিৎসা সেবা বন্ধের ঘোষণা করেন। পরে ডা.
প্রত্যক্ষদর্শী বদিউজ্জামান বলেন, “দেখলাম সোহেল হাওলাদার রুমের মধ্যে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। এরপর ভেতর থেকে চিৎকারের অওয়াজ আসলে কর্মচারীরা দরজা ভেঙে ডাক্তারকে উদ্ধার করে।”
অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী বলেন, “গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) আমি হাসপাতালে ভর্তি হই। ওই দিন আমার বাচ্চা নড়াচড়া করে। হাসপাতালে আসার পর ডাক্তার খোঁজ করেও পাইনি। পরে নার্সদের বললে তারা বলে স্যাররা কিছু না করলে আমরা কিছু করতে পারব না।”
তিনি বলেন, “আমার স্বামী ডাক্তারের হাত-পা জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করলেও ডাক্তর আসেনি। নার্সরা আমাকে ইনজেকশন দিলে জ্বর হয়। পরে ডাক্তার বলেন, ২-৩ দিন আগে আমার বাচ্চা মারা গেছে। সঠিক চিকিৎসা না দেওয়ায় আমার সন্তান মারা গেছে।”
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তারা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, ওই যুবকের স্ত্রীর সন্তান পেটের মধ্যে মারা গেছে।
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর আটক অভ য গ স ব স থ য কমপ ল ক স
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসবির বাশার প্রতারণার আরও ৯ মামলায় গ্রেপ্তার
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’-এর চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারকে আরও নয়টি প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন।
ঢাকার সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুদ্দোহা সুমন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১০ দিনের রিমান্ড শেষে খায়রুল বাশারকে আজ বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। প্রতারণার পৃথক নয়টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় ১৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে খায়রুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খায়রুল বাশার তাঁর স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশারকে সঙ্গে নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। চক্রটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ, স্কলারশিপ ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। ভুয়া ভিসা প্রসেসিং, মনগড়া প্রতিনিধিত্ব ও চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা হতো। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অনেকের নামে বিদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনই করা হয়নি। আবার অনেকে বিদেশে গিয়ে নানাভাবে প্রতারিত হয়েছেন।
সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪৪৮ জন ভুক্তভোগী প্রতারিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন ভুক্তভোগী প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা করেছেন।
আরও পড়ুনউচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান বাশার গ্রেপ্তার১৪ জুলাই ২০২৫