গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে সায়মা রহমান (৫) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন নিহত শিশুটির পরিবারের আরো ৪ জন।

বুধবার (১১ জুন) দুপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার দাসেরহাট স্কাই ব্লু রেস্টুরেন্টের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শিশু সায়মা রহমান ঢাকার নিউস্কাটন রোডের বাসিন্দা রাফিউর রহমানের মেয়ে।

আরো পড়ুন:

ট্রাকের পেছনে অটোরিকশার ধাক্কা, নিহত ২

মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, ৩ যুবকের মৃত্যু

এছাড়া নিহতের বাবা রাফিউর রহমান (৪৫), মা নুসরাত জাহান (৩৭), ভাই আসিক দাওয়ান (১০) ও আব্দুর রহমান আহত হয়েছেন।

মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান জানান, প্রাইভেটকারে করে একই পরিবারের ৫ জন ঢাকা থেকে খুলনা যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দাসেরহাট স্কাই ব্লু রেস্টুরেন্টের সামনে পৌঁছালে, বিপরীত দিক থেকে আসা সোহাগ পরিবহনের দ্রুতগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে খবর পেয়ে মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে সায়মা মারা যায়।

মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার মানোষ ভট্রাচার্য বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/বাদল/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

আহতদের চিকিৎসা দিয়ে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসকরা

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে আহতদের বিশেষ চিকিৎসা সহায়তা প্রদান শেষে দেশে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসক দল।

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং সফদরজং হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত চার সদস্যের দলটি ঢাকা ছেড়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশনায় গত ২৩ জুলাই বাংলাদেশে আসে এই চিকিৎসক দল।

গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে বহু মানুষ হতাহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই ভারত বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে চিকিৎসা সহায়তার আশ্বাস দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলটি বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

ঢাকায় অবস্থানকালে ভারতীয় চিকিৎসক দলটি জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে। তারা মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ ও আহতদের চিকিৎসায় কারিগরি পরামর্শ প্রদান করেন এবং জটিল কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ মতামত বিনিময় করেন।

ভারতীয় চিকিৎসকরা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গৃহীত চিকিৎসা পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে ইনস্টিটিউটের বার্ন কেয়ার ইউনিট ও ক্রিটিক্যাল কেস ম্যানেজমেন্টে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের দক্ষতার প্রশংসা করেন তারা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ যদি চায় তাহলে ভারত আরো চিকিৎসা সহায়তা দিতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে ভারতীয় হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ দেওয়া হবে।

ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, দেশটির মেডিকেল টিমের এই সফর দুই দেশের মানুষের মধ্যকার পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতা ও সহানুভূতির চিরন্তন বন্ধনের প্রতিফল।

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ 
  • আহতদের চিকিৎসা দিয়ে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসকরা
  • মাইলস্টোনে বিমান দূর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য মহানগর সাংস্কৃতিক জোটের দোয়া
  • জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ জাতি ভুলে যেতে পারে না: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
  • মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের জন্য জিয়া সৈনিকদলের দোয়া