মুকসুদপুরে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে শিশু নিহত
Published: 11th, June 2025 GMT
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে সায়মা রহমান (৫) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন নিহত শিশুটির পরিবারের আরো ৪ জন।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার দাসেরহাট স্কাই ব্লু রেস্টুরেন্টের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শিশু সায়মা রহমান ঢাকার নিউস্কাটন রোডের বাসিন্দা রাফিউর রহমানের মেয়ে।
আরো পড়ুন:
ট্রাকের পেছনে অটোরিকশার ধাক্কা, নিহত ২
মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, ৩ যুবকের মৃত্যু
এছাড়া নিহতের বাবা রাফিউর রহমান (৪৫), মা নুসরাত জাহান (৩৭), ভাই আসিক দাওয়ান (১০) ও আব্দুর রহমান আহত হয়েছেন।
মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান জানান, প্রাইভেটকারে করে একই পরিবারের ৫ জন ঢাকা থেকে খুলনা যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দাসেরহাট স্কাই ব্লু রেস্টুরেন্টের সামনে পৌঁছালে, বিপরীত দিক থেকে আসা সোহাগ পরিবহনের দ্রুতগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে খবর পেয়ে মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে সায়মা মারা যায়।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার মানোষ ভট্রাচার্য বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/বাদল/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।