প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মাকে শেষবিদায় জানালেন সাংবাদিক রুপা-শাকিল
Published: 11th, June 2025 GMT
সাংবাদিক ফারজানা রুপা তার মাকে শেষ বিদায় জানাতে বুধবার প্যারোলে মুক্তি পান। তার স্বামী সাংবাদিক শাকিল আহমেদও একই সময়ে মুক্তি পান।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফারজানা রুপার মা হোসনে আরা বেগম (৮০) বার্ধক্যজনিত রোগে মারা যান। প্যারোলে মুক্তি পেয়ে রাত ৯টার দিকে এই সাংবাদিক দম্পতি ময়মনসিংহের সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ধারিয়াকান্দা গ্রামে পৌঁছালে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) জান্নাত–উল ফরহাদ সমকালকে বলেন, গাজীপুরের কাশিমপুরে হাই সিকিউরিটি কারাগারে শাকিল আহমেদ এবং ফারজানা রূপা কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। সেখান থেকেই তাদের পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়। বিকেল ৩টার দিকে বের হওয়ার কথা থাকলেও তারা দেরিতে কারাগার থেকে বের হন। এরপর তাদের বিশেষ সতর্কতায় ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাড়িতে পৌঁছানোর পর ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদকে দেখে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ফারজানা রুপার ভাগনে নবনীল সরকার বলেন, ‘তারা রাত ৯টার দিকে বাড়িতে আসেন। এ সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।’ মায়ের মৃত্যুতে ফারজানা রুপা গভীরভাবে শোকাহত।
বুধবার বাদ আছর হোসনে আরা বেগমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের হত্যা মামলায় এই দম্পতিকে গত ২১ আগস্ট ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শাকিল আহমেদ একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রধান বার্তা সম্পাদক এবং তার স্ত্রী ফারজানা রুপা টেলিভিশনটির সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপক ছিলেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ শ ক ল আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার
গাজীপুরে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। প্রায়ই রাতে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে ডাকাতের কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এসকল ডাকাত সদস্যদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত এক মাসে কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি অভিযান চালিয়ে ২০ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। একইসঙ্গে ছয়টি পিকআপও জব্দ করেছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সুমন হোসেন ও সোহাগ নামে দুজন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি। এসময় তাদের দখলে থাকা একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের ডাকাতি মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিন গ্রেপ্তার করা হয়। উপজেলার মৌচাক ফকিরবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকমাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। বিশেষ করে কালিয়াকৈর-মাওনা আঞ্চলিক সড়ক ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে তাদের উৎপাত বেশি।
সড়কে পুলিশ টহল থাকলেও ডাকাত সদস্যরা বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে এরপর সুযোগ বুঝে ডাকাতি করে। এছাড়াও মাওনা কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি করে তারা। পুলিশ এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে।
মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আব্দুস সেলিম বলেন, “ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। তবে আমরা ডাকাতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। গত ১ মাসে আমাদের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ১৫ জন ডাকাত সদস্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পাঁচটি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, “রাতে আমাদের টহল পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা গত এক মাসে ২০ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন তথ্য মিলেছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/রেজাউল/এস