বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যারা বৃত্তি নিয়ে বা নিজ অর্থে পড়তে যান তাদের অন্যতম পছন্দের দেশ ডেনমার্ক। নর্ডিক দেশ হওয়ায় শিক্ষাক্ষেত্রে অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর মতোই বিদেশি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যের দেশ এটি। দেশটির উচ্চ মানের জীবনযাত্রার কারণে হাজারো শিক্ষার্থী ডেনমার্ক অভিমুখী হন। দেশটিতে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগ। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তরের জন্য ডেনমার্ক গেলেও স্নাতক করারও বেশ ভালো সুযোগ রয়েছে। এইচএসসি পাস বা মাধ্যমিক ডিপ্লোমাধারীরাও তাঁদের সনদ দিয়ে ডেনমার্কে স্নাতকের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে এই সনদ ডেনমার্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমমূল্য কি না, তা যাচাই করা হয়। এখানে মূলত একাডেমিক মার্কশিটের প্রতিটি বিষয়ের প্রাপ্ত গ্রেড ও জিপিএ (গ্রেড পয়েন্টের গড়) ডেনমার্কের পরীক্ষার নম্বর ব্যবস্থার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়।

ডেনিশ এজেন্সি ফর সায়েন্স অ্যান্ড হায়ার এডুকেশন তাদের আন্তর্জাতিক পরীক্ষার হ্যান্ডবুকের নিয়ম অনুযায়ী বিদেশি গ্রেডগুলোকে ড্যানিশ গ্রেডিং স্কেলে রূপান্তর করে। তাই এ যোগ্যতা পূরণ হয়েছে কি না, তা জানতে শিক্ষার্থীদের তাঁদের পছন্দের বিষয়ের জন্য পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত।

এ ছাড়া ডেনমার্কের স্নাতক শিক্ষার জন্য নিবন্ধন করে যোগ্যতা যাচাই করে নেওয়া যেতে পারে। অথবা ফরমটি পূরণ করে সরাসরি ইউনিভার্সিটিতে পাঠালে তারা ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাচাই করে দেয়।

আবেদনের যোগ্যতা

মাস্টার্স, পিএইচডিসহ যেকোনো স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য যোগ্যতা ন্যূনতম চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি। তবে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। এ ক্ষেত্রে ডেনিশ ডিগ্রিগুলোর https://www.

optagelse.dk/higher-education.shtml সমতুল্য বাংলাদেশের স্নাতক ডিগ্রিগুলো সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারে।

ভাষাগত যোগ্যতা

ইংরেজি ভাষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের আবেদনকারীদের ইংরেজি ভাষা দক্ষতা ন্যূনতম ইংরেজি ‘বি’ ক্যাটাগরির হতে হবে। এটি মূলত ডেনিশ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রণীত ইংরেজি ভাষা দক্ষতা যাচাইয়ের ব্যবস্থা। কোনো কোনো প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ইংরেজি ‘এ’ প্রয়োজন হয়। ইংরেজি ‘বি’র সমতুল্য আইইএলটিএস স্কোর ৬ দশমিক ৫ পয়েন্ট, যেটা ইংরেজি ‘এ’-এর ক্ষেত্রে ৭ পয়েন্ট।

ফাইল ছবি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য য গ যত

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ