নড়াইলের নড়াগাতিতে বালুবাহী ট্রলির ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে থাকা স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ইজিবাইকের চালক।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ২টার দিকে কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের তালবাড়িয়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মারা যাওয়ারা হলেন নড়াইলের বড়কালিয়া ব্যাপারীপাড়া গ্রামের জাফর মামুন (৭২) ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৬০)।
আরো পড়ুন:
মে মাসে ৫৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪
ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফেরা মানুষের ঢল
এলাকাবাসী জানান, মামুন ও তার স্ত্রী মর্জিনা ইজিবাইকে মহাজন এলাকায় আত্মীয় বাড়িতে যাচ্ছিলেন। নড়াগাতি থানার তালবাড়িয়া এলাকায় বালুবাহী একটি ট্রলি ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলের মামুন ও মর্জিনা মারা যান। আহত হন ইজিবাইক চালক কালিয়া উপজেলার বাঁকা গ্রামের বাবলু শরীফ (৫৫)।
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হাসিবুর রহমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় জাফর মামুন ও তার স্ত্রী মর্জিনা নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
নড়াগাতি থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রলিচালক পালিয়ে যান। ট্রলিটি জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ দুইটি কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত দ র ঘটন উপজ ল ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
কাহালুর জামাই মেলায় মানুষের ঢল
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার পৌর এলাকার পাল্লাপাড়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে কাহালু সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আয়োজন করা হয়। মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী লাঠি ও পাতা খেলা। শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল নাগরদোলা ও নৌকাদোল।
মেলা উপলক্ষে নতুন জামাই ও আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ জানানো হয় আশপাশের কয়েকটি গ্রামে। বাড়িতে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের ধুম পড়ে। এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেয়েজামাই। তারা একসঙ্গে কেনাকেটা করেন। বাঁশ, মাটি ও প্লাস্টিকের তৈরি খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতা। ছিল নারীদের প্রসাধনীর দোকানও।
এদিন অতিথি আপ্যায়নে মিষ্টির দোকানগুলোয় ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। হরেক রকমের মিষ্টি তৈরি করে বিক্রি করছেন দোকানি। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, তালের শাঁসসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করতে দেখা যায়। চটপটি, বারোভাজা ও ফুসকার দোকানেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ মেলা ঘিরে আশপাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। শিশু-কিশোরদের বাজানো বাঁশির শব্দ ছিল পুরো এলাকায়। মেলায় কথা হয় পাল্লাপাড়া গ্রামের জামাই মোরশেদ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এক বছর আগে বিয়ে করেছেন এলাকায়। কয়েকদিন আগে ঈদের দাওয়াতে এসেছিলেন শ্বশুরবাড়ি। এদিন আসেন জামাই মেলা উপলক্ষে।
মেলায় সকালে মাছ ও মাংসের দোকান বসে। বিকেলে ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করেই মানুষের ঢল নামে। শিশু-কিশোরদের হাত ধরে মেলায় ঘুরতে আসেন অভিভাবকসহ স্বজনরা। শিশুদের বায়না মেটাতে হিমশিম খেতে হয় অনেককে।
আয়োজকদের অন্যতম সাবেক কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক বলেন, ৩৫ বছর থেকে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এলাকার জামাইদের দাওয়াত করা হয় বলে এটি ‘জামাই মেলা’ হিসেবে পরিচিত। এ মেলা এখন এলাকার ঐতিহ্য।