প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনে অনুষ্ঠেয় শুক্রবারের বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, এই বৈঠকে কি হবে এটা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ঠিক করতে হবে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও মানুষের দাবি, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বল এখন তাঁর কোর্টে। 

বৃহস্পতিবার সমকালকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় রুহিন হোসেন প্রিন্স এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বামপন্থি দলগুলোসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। বিএনপিও একই দাবি তুলেছে। এখন শুনছি, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ নিয়েও আলোচনা হবে। সেখানে কী সমঝোতা হবে জানি না। তবে ড.

ইউনূসকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন প্রশ্নে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করতেই হবে।’       

প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরের প্রক্রিয়া ও উদ্দেশ্য নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে মন্তব্য করে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘সেখানে তিনি কী জন্য গেলেন, দেশের জন্য কী অর্জন করে আসবেন- সেটা নিয়ে নানা কথা উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা দেখছি। তারপরও বলবো- সেখানে তিনি কোনো বৈঠক করুন বা না করুন- নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার প্রশ্নে তাঁকেই দৃশ্যমান ভূমিকা নিতে হবে। এটাই তার ওপর জাতির ম্যান্ডেট।’

‘কাজেই দেশে ফিরে প্রধান উপদেষ্টাকে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা করতে হবে এবং সেটা ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে। অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যেসব সংস্কার প্রয়োজন তা করতে হবে। বিচার কার্যক্রমও দৃশ্যমান হতে হবে। আমরা মনে করি, এসব কাজ করেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন শেষ করা সম্ভব, বলেন রুহিন হোসেন প্রিন্স।  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ইউন স ত র ক রহম ন ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’

গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ