হিসাব চাওয়ায় ব্যবসায়ীর মাথা ফাটালেন অংশীদার
Published: 13th, June 2025 GMT
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ব্যবসায়ী অংশীদারের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় আজাদ শেখ নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত আজাদকে (৪৫) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পাটগাতী বাসস্ট্যান্ডের টুঙ্গিপাড়া প্যাথলজি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
আজাদের স্বজনদের ভাষ্য, টুঙ্গিপাড়া প্যাথলজি সেন্টারের মালিক ছিলেন আজাদ ও টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ইয়ার আলী মুন্সী। ৬ মাস আগে চিকিৎসক ইয়ার আলী তাঁর অংশ গিমাডাঙ্গা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী শেখের ছেলে মারুফ শেখের কাছে বিক্রি করে দেন। তারপর থেকে আজাদ ও মারুফ প্যাথলজি সেন্টারটি পরিচালনা করে আসছিলেন। সম্প্রতি একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হয় আজাদকে। গত সপ্তাহে জামিনে মুক্তি পেয়ে মারুফের কাছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব চান। মারুফ হিসাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করে অংশীদারকে মারধরের হুমকি দেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে আজাদ প্যাথলজি সেন্টারের ভেতরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় মারুফ কয়েকজন সহযোগীসহ সেখানে এসে তাঁর ওপর হামলা করেন। মারধরের একপর্যায়ে তারা আজাদকে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে মারুফ শেখ বলেন, যারা আজাদকে মেরেছে তিনি তাদের চেনেন না। প্যাথলজির ভেতরে মারামারি ঠেকাতে গিয়ে তিনিও মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁকে ফাঁসিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পুরো মালিকানা নিতে ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেন তিনি।
থানার ওসি খোরশেদ আলম বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ প য থলজ ম রধর ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরা আগে থেকেই সব জানতাম’, ইরানে ইসরায়েলের হামলা প্রসঙ্গে ট্রাম্প
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাতের ব্যাপারে আগে থেকেই জানতেন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এখনও ইরানের সামনে পরমাণু প্রকল্প নিয়ে সমঝোতায় আসার সুযোগ রয়েছে।
শুক্রবার ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে টেলিফোন সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই সব জানতাম এবং আমি ইরানকে অপমান, ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যু থেকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। আমি খুব চেষ্টা করেছি ইরানকে রক্ষা করার জন্য, কারণ আমি মনেপ্রাণে চাইছিলাম যেন আমরা একটা সমঝোতায় আসতে পারি।
ইরানের পাল্টা হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে তেল আবিবের পাশে থাকবেন কিনা— রয়টার্সের এই প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইসরায়েলের সমর্থক এবং ইরানে ইসরায়েলের হামলার কারণে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে সংঘাত উসকে উঠবে কি না— সে বিষয়ে উদ্বিগ্ন নন।
তিনি বলেন, আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ। আমরা তাদের এক নম্বর মিত্র। দেখা যাক কী হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত ৮টি শহরে বড় ধরনের বিমান হামলা করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী (আইএএফ)। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৮ জন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০০।
ইরানের পরমাণু প্রকল্প ও সামরিক বাহিনীর স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছিল। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হামলায় ইরানের অন্তত ১০০টি স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এরপর শুক্রবার মধ্যরাতে ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবসহ অন্যান্য শহরে হামলা চালায় ইরান। এতে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত ইসরায়েলি। নিহত হয়েছেন ৩ ইসরায়েলি।