সিলেটে ‘যুবদল নেতার নেতৃত্বে’ প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট
Published: 13th, June 2025 GMT
সিলেটের ওসমানীনগরে এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের যুক্তরাজ্যপ্রবাসী গোলাম রব্বানীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, এই হামলা ও লুটপাটে নেতৃত্ব দিয়েছেন যুবদলের এক নেতা।
এ ঘটনায় আজ শুক্রবার দুপুরে বাড়ির মালিক ডলি বেগম (৫৩) উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহবাব হোসেনসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৪৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহবাব হোসেনের বাবা চেরাগ আলীসহ কয়েকজনের জুয়া খেলার একটি ভিডিও সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী গোলাম রব্বানী ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ যুবদল নেতা আহবাবের। এরই জেরে গতকাল বিকেলে খাদিমপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রবাসীর বাড়িতে অর্ধশতাধিক লোক নিয়ে হামলা করা হয়। হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে আসবাব, স্বর্ণালংকার, মুঠোফোন, নগদ টাকাসহ প্রায় ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার মালামাল লুট ও ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রবাসীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ডলি বেগম জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তখন হামলাকারীরা আবার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরে সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ১৫ জনকে আটক করে যৌথ বাহিনী।
যুবদল নেতা আহবাব হোসেন বলেন, ‘আমার বাবা জুয়া খেলেননি। এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ কার্ড খেলছিলেন। সেটিকে অন্যভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ওই প্রবাসী ও তাঁর বাড়ি পুরো গ্রামের সঙ্গে বিভিন্নভাবে ঝামেলা করছে। ঘটনার দিনও তাঁদের বাড়িতে মারামারি করার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে বহিরাগত মানুষজন নিয়ে রেখেছিল। খবর পেয়ে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিল। গ্রামবাসী ওই বাড়ির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। এ বিষয়ে এলাকায় বৈঠক বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যপ্রবাসী গোলাম রব্বানী বর্তমানে দেশে আছেন। তবে তিনি ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘আহবাবের বাবা চেরাগ আলীর জুয়া খেলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তাঁর নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমি প্রশাসনসহ সবার কাছে সন্ত্রাসী হামলা, লুট ও ভাঙচুরের বিচার চাই।’
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রব স র য বদল আহব ব
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, বাবা-মেয়ে নিহত
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-মেয়ে নিহত হয়েছে। একই পরিবারের চারজন আহত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দয়ামীর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতরা সবাই একই পরিবারের বলে জানায় পুলিশ।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল পুলিশবাহী বাস, আহত ২০
৪০ বছরেও পাকা হয়নি হাওলাদারপাড়া-বারঘর সড়ক
এতে নিহতরা হলেন প্রাইভেটকার চালক ও ওসমানীনগর পজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের মো. সফিক মিয়ার ছেলে মো. হারুন মিয়া (৩১) ও তার মেয়ে আনিসা (৮)। আহতরা হলেন নিহত হারুনের তিন বোন রাইমা বেগম, মুন্নি বেগম, পান্না বেগম ও ভগ্নিপতি মুকিত মিয়া।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ সরকার দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে জানান, নিহতের লাশ ও দুঘটনাকবলিত দুটি গাড়ি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে হবিগঞ্জগামী বাসের সঙ্গে বিপরীতদিক থেকে আসা প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে প্রাইভেটকারের চালক হারুন মিয়া ও তার মেয়ে আনিসা মারা যায়।
সিলেট জেলা বাস-মাইক্রোবাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আলী আকবর রাজন বলেন, ‘‘সড়ক দুর্ঘটনায় উমরপুর-খাদিমপুর শ্রমিক সংগঠনের এক সদস্য বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় মেয়েসহ নিহত হয়েছেন। লাশ বর্তমানে মর্গে রয়েছে। আমরা তাদের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।’’
ঢাকা/নুর/বকুল