সমকাল : চামড়া খাতে দীর্ঘদিনের সমস্যা। এটি কেন? 
মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন : ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) আইনজীবী আদালতে জানান, সাভারে চামড়া শিল্পনগরী সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হওয়ার পরও ট্যানারি মালিকরা হাজারীবাগ থেকে যেতে চাচ্ছেন না। এমন মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে মহামান্য হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত দেন যে ট্যানারি সাভারে করতে হবে। একই সঙ্গে হাজারীবাগের ট্যানারিতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার আদেশ দেন। এতে ট্যানারি মালিকরা সাভারে যেতে বাধ্য হন। সেখানে গিয়ে দেখি, কোনো অবকাঠামো প্রস্তুত হয়নি। সিইটিপি হয়নি, রাস্তাঘাট ছিল না। তখন থেকে চামড়া খাতে ব্যাপক সমস্যা শুরু হয়। উদ্যোক্তারা বাধ্য হয়ে ধারদেনা করে সাভারে কারখানা করেছেন। এখনও কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট-সিইটিপির সমস্যা রয়েই গেছে। এদিকে কয়েক বছর আগে থেকেই চামড়া প্রস্তুতের ক্ষেত্রে মান নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিকভাবে লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদপ্রাপ্ত না হলে ভালো কোনো গ্রাহক আমাদের চামড়া কিনছে না। ইতালিসহ বেশ কিছু দেশ বাংলাদেশ থেকে চামড়া কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি বাংলাদেশের জুতা কোম্পানিগুলোকেও ক্রেতারা বলে দিয়েছে, তারা যদি এলডব্লিউজি সনদ ছাড়া প্রতিষ্ঠান থেকে চামড়া কেনে, তাহলে তাদের জুতা কিনবে না। ইতোমধ্যে ট্যানারি মালিকরা অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ফেলেছেন। অথচ সরকার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিইটিপি প্রস্তুত করছে না। সার্বিকভাবে আগে যে চামড়া ট্যানারি মালিকরা দেড় হাজার টাকায় কিনতেন, এখন তা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় কিনলেও প্রতিবছর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে লোকসান  করছেন। এভাবে ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে ৩০ থেকে ৪০ জন ট্যানারি মালিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এখন আমরা একটি ঝুঁকিপূর্ণ শিল্পে জড়িয়ে গেছি। 
সমকাল :  চামড়া শিল্পনগরী স্থাপনের ফলে এ খাতের উন্নতি হওয়ার কথা। হচ্ছে না কেন?
মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন : সাভারে শিল্পনগরীর সিইটিপির মানোন্নয়ন, কঠিন বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত এবং ট্যানারির অভ্যন্তরীণ পরিবেশ উন্নত করা দরকার। অসম্পূর্ণ শিল্পনগরীতে স্থানান্তরের কারণে ট্যানারির আগের ভাবমূর্তি ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। তরল বর্জ্য শোধনের জন্য নির্মিত সিইটিপি ত্রুটিপূর্ণ ও প্রয়োজনের তুলনায় কম সক্ষমতার। কঠিন বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। ফলে কমপ্লায়েন্স হতে পারছে না ট্যানারি। 
সমকাল : এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কী?
মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন : এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ সরকারের ভুলের কারণে চামড়াশিল্প বর্তমান অবস্থায় এসেছে। এ শিল্পকে নীতিসহায়তা দিতে হবে। সম্প্রতি শিল্প মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে, সাভার চামড়া শিল্পনগরী উন্নয়ন ছিল ত্রুটিপূর্ণ। যারা এ অব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা। সবার আগে সাভার ট্যানারিশিল্পের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। সিইটিপি পুরোপুরি প্রস্তুত করতে হবে। শুধু এসব করলেই হবে না; কারণ এসব ভুলের কারণে উদ্যোক্তারা গত সাত বছর লোকসান করেছেন, উদ্যোক্তাদের ক্ষতি পূষিয়ে দিতে হবে। 
সমকাল : সরকারের কী কী নীতি সহায়তা চান?
মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন : নানা কারণে ট্যানারিগুলো অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। সংকট সমাধানে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে হবে। উদ্যোক্তাদের  স্বল্পমেয়াদি ঋণকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণে রূপান্তর করতে হবে। ঋণখেলাপি এবং ঋণখেলাপির দ্বারপ্রান্তে উপনীত উদ্যোক্তাদের ঋণ পুনঃতপশিল করতে হবে। হাজারীবাগের জমিগুলোর সদ্ব্যব্যহার ত্বরান্বিত করে উদ্যোক্তাদের আর্থিক সংকট মেটানো দরকার। 
 সমকাল : কোরবানির চামড়ার দাম না পাওয়ার কারণ হিসেবে ট্যানারি মালিকদের এক ধরনের সিন্ডিকেটের কথা শোনা যায়। এ ব্যাপারে কী বলবেন?
মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন : কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলেই বলে থাকেন, সিন্ডিকেট আমাকে শেষ করে দিল। প্রকৃত অর্থে ১৫০ ট্যানারি মালিক ৬৮ হাজার গ্রাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তিন থেকে চার হাত বদল হয়ে চামড়া ট্যানারিতে আসে। ট্যানারি মালিক চামড়ার মান যাচাই  করার পর  দাম নির্ধারণ করেন।  চামড়া ভালো থাকলে সর্বোচ্চ দাম ধরা হয়। পচন ধরলে স্বাভাবিকভাবেই দাম কম হবে। তাই ঠিকমতো লবণ দিয়ে চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি। যে ব্যক্তি কোরবানি দেবেন, প্রাথমিকভাবে তাকেই লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করতে হবে। এ জন্য বাড়তি খুব বেশি খরচ হবে না।
সমকাল : সিইটিপি সংস্কার হলেই কি সব ট্যানারি এলডব্লিউজি সনদ পাবে?
 মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন : সিইটিপি সংস্কার হলেই ৩০ থেকে ৪০টি ট্যানারি এলডব্লিউজি সনদ পাওয়ার যোগ্য হবে। একই সঙ্গে ছোট ট্যানারিগুলোর জন্য আলাদা আলাদা ক্লাস্টার করে কমপ্লায়েন্স উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।  
সমকাল : চামড়া ও চামড়াজাতপণ্যের রপ্তানিতে আমরা পিছিয়ে কেন?
মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন : আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে পণ্যের গুণগত মান একটি বড় নিয়ামক। ট্যানারিগুলোর এলডব্লিউজি সনদ পেতে উৎপাদন প্রক্রিয়া, পরিবেশ সুরক্ষা, কাঁচামালের উৎস, সামাজিক দায়বদ্ধতা, শ্রমিক অধিকার ও পরিচ্ছন্ন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাসহ বহুবিধ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। মানদণ্ড অর্জন করতে একদিকে যেমন বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন, অন্যদিকে দরকার এসব বিষয়ে উত্তম চর্চা।
সমকাল : রপ্তানি আয় বাড়াতে আপনার পরামর্শ কী?
মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন : বিশ্ববাজারে দর পতনের কারণে আগের চেয়ে বেশি চামড়া রপ্তানি করলেও আয় কম। ফলে রপ্তানি আয় কয়েক বছর ধরে প্রায় একই রকম থাকছে। এ থেকে উত্তরণের উপায় হচ্ছে, কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা। কমপ্লায়েন্ট না হওয়ার কারণে ইউরোপের বাজার আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। একই কারণে আমাদের চামড়াজাতপণ্য কিনতে বিখ্যাত ক্রেতারা আগ্রহ দেখায় না কিংবা অত্যন্ত কম দাম অফার করে। তাই ট্যানারিগুলোকে কমপ্লায়েন্ট করা সবচেয়ে জরুরি।

 সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেসবাহুল হক

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কমপ ল য় ন শ ল পনগর প রস ত ত বর জ য স ইট প ম ল কর সরক র ব যবস সমক ল

এছাড়াও পড়ুন:

এখনও পাহাড়ের নিচে বাস ২০ সহস্রাধিক মানুষের

২০১৭ সালের ১৩ জুনের ভয়াবহ পাহাড় ধসের দৃশ্য এখনও চোখে ভেসে উঠলে শিউরে উঠি। এখনও আমার ঘরের আশপাশে সেই পাহাড় ধসের চিহ্ন রয়ে গেছে। তাই অল্প বৃষ্টি হলেই আতঙ্কে থাকি, আশ্রয়কেন্দ্র খুঁজি। কিন্তু আমরা অসহায় ও গরিব, যেখানে পেটের ভাত জোগাতে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে নিরাপদ ভাড়া বাসায় থাকার সামর্থ্য কোথায়? তাই মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই পাহাড়ের নিচে বসবাস করছি। 
কথাগুলো বলছিলেন রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর লোকনাথ মন্দিরের পাশে সিএনবির পাশে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা পঞ্চাশোর্ধ্ব নূরজাহান। শুধু নূরজাহান নন, রূপনগর, মুসলিমপাড়া, শিমুলতলী, লোকনাথ মন্দির এলাকা, রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন নিচু এলাকা, কিনারাম পাড়াসহ শহরের অন্তত ২৯টি স্থানে ২০ হাজারের বেশি নিম্ন আয়ের মানুষ মারাত্মক ঝুঁকি জেনেও বসবাস করছে পাহাড়ের পাদদেশে। একটু ভারী বৃষ্টি এলেই সবার স্মৃতিতে ফিরে আসে, ২০১৭ সালের এ দিনে শহরে পাহাড় ধসে মাটিচাপা পড়ে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। কিন্তু পুনর্বাসন না হওয়ায় পাহাড়ের নিচে বসবাস বন্ধ হয় না। উল্টো দিন দিন বাড়ে। 

এমন অবস্থায় আজ শুক্রবার ২০১৭ সালেই সেই ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনার আট বছর পূর্ণ হলো। ২০১৭ সালের ১৩ জুন ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর যুব উন্নয়ন বোর্ড এলাকা, মুসলিমপাড়া, শিমুলতলী, রূপনগর, সাপছড়ি, মগবান, বালুখালী, জুরাছড়ি, কাপ্তাই, কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যু হয়। মানিকছড়িতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ওপর থেকে মাটি সরাতে গিয়ে ৫ সেনা সদস্য পাহাড় ধসে মাটিচাপা পড়েন। ওই সময় পাহাড় ধসে জেলায় ১৬০০ থেকে ১৭০০ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সারাদেশের সঙ্গে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল এক সপ্তাহ। দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার পর ক্ষতিগ্রস্তরা নিজেদের জায়গায় ফিরে যায়। এ ছাড়া ২০১৮ সালে নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড় ধসে দুই শিশুসহ ১১ জন এবং ২০১৯ সালের কাপ্তাইয়ে ৩ জনের প্রাণহানি ঘটে।
২০১৭ সালের সেই পাহাড় ধসে মৃত্যুর মিছিল ও বিপুল ক্ষয়ক্ষতির পরও ঝুঁকিতে থাকা লোকজনদের পুনর্বাসন করতে পারেনি প্রশাসন। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করেই দায় সারে তারা। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে স্থাপনা নির্মাণ না করতে মাঝেমধ্যে নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়। কিন্তু এই সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান আজও হয়নি। 
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রাঙামাটি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে শিমুলতলী, রূপনগর, লোকমন্দির পাড়া, পোস্ট অফিস কলোনি এলাকা, নতুনপাড়া, বিদ্যানগর, কিনারামপাড়া, সিলেটি পাড়াসহ অন্তত ২৯টি স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া নানিয়ারচর, কাউখালীসহ কয়েকটি উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় রয়েছে। এসব এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে এখনও ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রূপনগর, লোকনাথ মন্দির, মুসলিমপাড়া এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, ২০১৭ সালের ওই পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নতুন বসতি গড়ে উঠেছে। কথা হয় রূপনগর এলাকার বাসিন্দা সমলা আক্তার, কমলা বেগম, আব্দুল মান্নান ও শাহানা বেগমের সঙ্গে। তারা জানান, ভারী বৃষ্টি হলেই ভয় লাগে। কিন্তু তাদের যাওয়ার কোথাও জায়গা নেই। বেশি বৃষ্টি হলে জেলা প্রশাসন থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু সম্পদ হারানোর ভয়ে অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে চায় না। 
তারা আরও জানান, সবাই চায় ভালো ও নিরাপদ স্থানে বসবাস করতে। তাই সরকার যদি তাদের পুনর্বাসন করে তাদের জন্য ভালো হয়।  
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের পুনর্বাসন চলমান প্রক্রিয়া। তবে এ ক্ষেত্রে জটিলতা হচ্ছে, যেখান থেকে মানুষজনদের সরিয়ে নেওয়া হয়, সেখানে আবারও নতুন লোকজন বসবাস শুরু করে। এসব এলাকায় লোকজন কম টাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। তা ছাড়া পাহাড়ে ভূমি জটিলতা থাকার কারণে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বা পাহাড়ের ঢালুতে মানুষ বসবাস করছে। যারা অবৈধভাবে বসবাস করছে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নেওয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থাও। তবে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস বন্ধ করতে সচেতনতা সৃষ্টি জরুরি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কমপ্লায়েন্সের অভাবে ধুঁকছে চামড়া খাতের রপ্তানি
  • এখনও পাহাড়ের নিচে বাস ২০ সহস্রাধিক মানুষের