বাংলাদেশে যেন আর কোনো একদলীয় দুঃশাসনের ছায়া ঘনিয়ে না আসে, সে জন্য ইসলামপন্থীদের ঐক্য ও দায়িত্বশীল ভূমিকা সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আয়োজিত এক ঈদ পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার রিয়াদের একটি মিলনায়তনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রিয়াদ মহানগর শাখা।

সমাবেশে মামুনুল হক বলেন, রাজনীতিতে মতভিন্নতা থাকবে, কিন্তু তা যেন সংঘাতে রূপ না নেয়। ইসলামি দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি ও সংঘর্ষ দেশের স্বাধীনতা, ইমানি পরিচয় ও মানুষের ভোটাধিকারের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

মুসলিম বিশ্ব ফিলিস্তিন থেকে কাশ্মীর, আরাকান থেকে চাদ-নাইজার পর্যন্ত নির্যাতিত ও পরাধীন অবস্থায় আছে উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, ‘মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ঐক্যবদ্ধ নয়। অন্তত বাংলাদেশ যেন এই বিভাজনের অংশ না হয়। আমাদের পররাষ্ট্রনীতিকে সাহসী ও ন্যায়ের পক্ষে থাকতে হবে। যেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা, মসজিদে আকসার মুক্তি এবং ইসলামি উম্মাহর স্বার্থ অগ্রাধিকার পায়।’

মামুনুল হক আরও বলেন, ‘খেলাফত মজলিস দেশীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক ইসলামি মূল্যবোধভিত্তিক পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর। বৃহত্তর ইসলামপন্থীদের ঐক্যের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ, পরমতসহিষ্ণুতা এবং ইসলামি আদর্শসম্মত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা আমাদের লক্ষ্য।’

দলের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন বলেন, প্রবাসীদের হৃদয়ে খেলাফত মজলিসের জন্য ভালোবাসা, আস্থা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির জন্য আশার আলো হয়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রিয়াদ মহানগর শাখার সভাপতি হুসাইন হাবীবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়াতুল্লাহ হাদী, ঢাকা জেলা উত্তরের সহসভাপতি নূর মোহাম্মদ এবং সৌদি আরবে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রিয়াদ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

পবিত্র হজ পালনের অংশ হিসেবে সৌদি আরব সফরকালে বিভিন্ন ইসলামি দল ও সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মামুনুল হকের সাক্ষাৎ হয়। মক্কা ও মদিনায় ঈদ পুনর্মিলনী আয়োজনে অংশ নেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ সমমনা ইসলামি দলগুলোর স্থানীয় নেতারা।

এর আগে মক্কা মুকাররমায় হেফাজতে ইসলাম এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মক্কা মহানগর শাখা ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ম ন ল হক অন ষ ঠ ন ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবিতে সপ্তাহব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভাস্কর্য বিভাগের উদ্যোগে চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে সপ্তাহব্যাপী ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী’ শুরু হয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

আরো পড়ুন:

জাবি অধ্যাপককে হুমকি গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি: ইউট্যাব

ঢাবি উপ-উপাচার্যের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান নাসিমুল খবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, শিল্পাচার্য তনয় প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন, ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আহ্বায়ক ড. নাসিমা হক মিতু।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পুরস্কারপ্রাপ্তদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “শিল্পের কোন সীমা নেই। এর একটি শাশ্বত ভাষা রয়েছে। এই শৈল্পিক ভাষা ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে শিল্পীরা মানুষের মনে স্থান করে নেন।”

শিক্ষার্থীদের ১ বছরের শ্রেণির কাজ থেকে বাছাইকৃত শিল্পকর্ম নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীটি প্রয়াত ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। এতে ৪৩ জন শিল্পীর ৭১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের জন্য ছয়জন শিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন। পরে তিনি সেরা শিল্পকর্মের জন্য ছয়জনকে সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন প্রধান অতিথি।

পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা হলেন- প্রত্যয় সাহা (শিল্পী আনোয়ার জাহান স্মৃতি পুরস্কার), চিন্ময় ঘোষ (অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্মৃতি পুরস্কার), অলি মিয়া (ভাস্কর নভেরা আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার), মৃধা মো. রাইয়ান আযীম (অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান স্মৃতি পুরস্কার), সুমিত রায় (মাধ্যম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার) এবং সুপ্রিয় কুমার ঘোষ (নিরীক্ষামূলক শ্রেষ্ঠ পুরস্কার)।

আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী চলবে । প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ