যমুনা সেতুর ওপর দুর্ঘটনা, গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়া ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে সেতুর পূর্ব প্রান্তে টাঙ্গাইল অংশে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সিরাজগঞ্জ অংশেও তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।

যানজট নিরসনে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে যমুনা সেতুর উভয় লেন দিয়ে শুধু উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী যানবাহন পার করানো হচ্ছে। বন্ধ রাখা হয়েছে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের চলাচল। এই তথ্য জানিয়েছেন মহাসড়কে দায়িত্বরত টাঙ্গাইল ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক হারুন অর রশীদ।

শনিবার ভোর থেকে যমুনা সেতু হয়ে কালিহাতী উপজেলার পুংলি পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত যানজট কমে এসে সেতু থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলাকায় ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। গভীর রাতে সেতুর ওপর সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে এবং কয়েকটি যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনাকবলিত ও বিকল গাড়িগুলো সরিয়ে নিতে সময় লাগে। ফলে সেতুর ওপর যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং যানজট শুরু হয়। শনিবার সকালে এই যানজট ১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

যমুনা সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘সেতুর ওপর সড়ক দুর্ঘটনার কারণে রাতে যান চলাচল ব্যাহত হয়। এ থেকেই যানজটের সূচনা হয়। আশা করছি, দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এবং সিরাজগঞ্জ অংশে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে টানতে না পারায় টাঙ্গাইল অংশে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য নজট র স স ত র ওপর দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ