প্রশ্নটা অনেক ফুটবলপ্রেমীরই। ক্লাবগুলোর বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, অথচ ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় দুটি দল খেলছে না, তা হয় কীভাবে! ফিফারও যে এ নিয়ে তিল পরিমাণ দুশ্চিন্তা নেই, সেটাও নয়।

ভেঙে বলা যাক। এবারের ইউরোপ–সেরা এখনো নির্ধারিত হয়নি। মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ৩১ মে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। আর যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ জুন শুরু হয়ে ১৩ জুলাই শেষ হবে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। ধরে নেওয়া যাক, এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে আর্সেনালের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। ফিফা ঠিক তখনই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারে। কারণ, এ দুটি দলের কেউ–ই এবার ক্লাব বিশ্বকাপে নেই। তাই ইউরোপ–সেরা দলকে ক্লাব বিশ্বকাপে না দেখার ঝুঁকিটা থেকেই যায়। যদিও সেমিফাইনালের অপর দুই দল ইন্টার মিলান ও পিএসজি জায়গা করে নিয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপে।

আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে পাওয়া যাবে ১৫০০ কোটি টাকারও বেশি০৬ মে ২০২৫

বার্সা ও আর্সেনালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে উঠে আসার পথও আলাদা। সান সিরোয় আজ সেমিফাইনাল ফিরতি লেগে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে বার্সা। প্রথম লেগ ৩–৩ গোলে ড্র করেছিল দুই দল। বুধবার রাতে পার্ক দে প্রিন্সেসে আরেক সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে পিএসজির মুখোমুখি হবে আর্সেনাল। ঘরের মাঠে প্রথম লেগ ১–০ গোলে হেরেছে মিকেল আরতেতার দল। অর্থাৎ আর্সেনাল ও বার্সেলোনা—দুই দলেরই চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠার সুযোগ আছে।

তবে একটি প্রশ্ন উঠতেই পারে—বার্সা ও আর্সেনাল কেন এবারের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নেই?

গোটা মৌসুমে দারুণ খেললেও ক্লাব বিশ্বকাপে দেখা যাবে না বার্সাকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ ক ল ব ব শ বক প আর স ন ল ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাতভর ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা, নির্ঘুম দুই দেশ

ইরানে ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিচ্ছে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির শিয়াপ্রধান দেশটি। হামলা ও পাল্টা হামলায় চরম পরিস্থিতি বিরাজ করছে দুই দেশে, সেই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার রাতভর দুই দেশ পরস্পরের মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে। দুই দেশের উৎকণ্ঠিত কয়েক কোটি মানুষ পার করেছে নির্ঘুম এক অনিশ্চয়তার রাত। 

বিবিসি, আলজাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ানসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সর্বশেষ খবরে বলা হচ্ছে, হামলা ও পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। শনিবার রাতে (১৫ জুন) ইরানের হামলায় ইসরায়েলে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।

শনিবার রাতে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ পারমাণবিক প্রকল্পের স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালানোর পর ইরান পাল্টা হামলা চালায় এবং এরপর থেকে তেল আবিব ও জেরুজালেমে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

আরো পড়ুন:

ইরানে নিরাপদে আছেন ৬৬ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

আড়াইহাজারে জামায়াতের পথসভায় বিএনপির হামলা, আহত ৫

তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন, বিস্ফোরণের শব্দ এবং প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইসরায়েল।

তেল আবিবে হামলার পর আগুনে জ্বলতে থাকা ভবনের ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ছে। এসব ভিডিও যথাযথভাবে যাচাই করা যায়নি বলে খবরে লিখেছে দ্য গার্ডিয়ান। তবে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কিছু দৃশ্য তেল আবিবের পরিচিত রাস্তায় ধারণ করা।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ‘বহুবার আঘাত’ করেছে। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তেল আবিবে রকেট ও এর খণ্ডাংশ পড়ে কিছু ক্ষতি হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইরানের দুটি তেল পরিশোধনাগারে আগুন লেগেছে, যার একটি শাহরানে এবং অন্যটি দক্ষিণ তেহরানে; এই দুই স্থানে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী জানিয়েছে, তাদের অভিযান “আরো তীব্র ও ব্যাপক হবে, যদি এই নৃশংসতা ও হামলা অব্যাহত থাকে।”

এর আগে ইসরায়েল উত্তরাঞ্চলে ‘শত্রু বিমান অনুপ্রবেশের’ সতর্কতামূলক সাইরেন বাজিয়েছিল।

ইরানের আগের হামলায় ইসরায়েলের তামরায় নিহত চারজন নারী একই পরিবারের সদস্য ছিলেন বলে নিশ্চিত হয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

জেরুজালেম পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, নিহতরা ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিক; তারা হলেন- মানার আল-কাসেম আবু আল-হেইজা খতিব, তার দুই মেয়ে হালা (১৩) ও শাদা (২০) এবং তাদের আত্মীয় মানার দিয়াব খতিব।

ইরানের সর্বশেষ হামলায় তেল আবিবের অন্তত দুটি স্থান ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর ইসরায়েলের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষ এবং আহতদের উদ্ধার করতে জরুরি সেবাগুলো কাজ করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম বলছে, আহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং এখন পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ