বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে কাজ করার পর মাঝে এসেছিলেন জাতীয় দলের নির্বাচক হয়ে। সেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ঢাকা লিগে কোচিংয়ের অভিষেকেই চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন। নির্বাচকের মতো লোভনীয় পদ হান্নান সরকার ছেড়েছিলেন কোচিং পেশার জন্য। এবার তার কাঁধে অনূর্ধ-১৭ দলের কোচিংয়ের ভার দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

নির্বাচক থাকায় জাতীয় দলের পারফরম্যান্স কিংবা মূল্যায়ন তার নখদপর্ণে। এবার তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে। সাবেক এই ক্রিকেটার মনে করেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ড্র করাই বড় অর্জন হবে।

মিরপুরে সোমবার হান্নান সরকার বলেন, “শ্রীলঙ্কায় খেলা অনেক কঠিন। শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে আমাদের ফলাফলও তেমন আশানুরূপ নয়। তবে আমাদের বেশকিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে। টেস্ট দলের হিসেবে ওদের চেয়ে আমাদের খেলোয়াড়রা বেশি অভিজ্ঞ.

...তাই সিনিয়র খেলোয়াড়রা গাইড করতে পারবে। এই সিরিজটা যে ২-০ তে জিততে হবে এমনটা আমি ভাবি না। আমার কাছে মনে জয় সিরিজটা ড্র কর‍তে পারলে সেটাও একটা অর্জন হবে।“

আরো পড়ুন:

আলিসের ফিরতে হবে পরের বিপিএলে

খুলনায় ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা শুরু

আগামীকাল থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শান্তর দল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে। দলটির বিপক্ষে মাত্র ১টি টেস্ট জয়ের কীর্তি রয়েছে বাংলাদেশের। আর ৫টি ড্রয়ের বিপরীতে হার ২০টিতে। তার মধ্যে ২০১৩ সালে গল ও ২১ সালে পাল্লেকেলেতে ড্র করেছে বাংলাদেশ। সেই বিবেচনায় হয়তো হান্নান ড্রই বড় অর্জন মনে করেন।

হান্নান বলেন, “শ্রীলঙ্কার মাটিতে খেলা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। আমাদের পারফরম্যান্সের কথা যদি বলি...শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করলে আমরা বেশ পিছিয়ে আছি। তবে রেকর্ড দিয়ে তো আর সবসময় বিচার করা যায় না। আসলে টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্স নিয়েই তো আলোচনা হচ্ছে...... তবে আমাদের টেস্ট দলটা নিয়ে আশা করতেই পারি।

“ আমাদের দলে যারা আছে... সাদমান টেস্ট বিশেষজ্ঞ, মুমিনুল-মুশফিক খেলছে....শান্তও গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আমাদের, মিরাজ রয়েছে.....টি-টোয়েন্টির যে পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেখানে টেস্টে কিন্তু আলাদা করে চিন্তা করার সুযোগ রয়েছে। কারণ আমাদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে। টেস্টে যারা ভালো করবে বা ভালো খেলোয়াড় রয়েছে.... তারা কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে ছিল না। তাই টেস্ট নিয়ে আমি ইতিবাচক চিন্তা করতে চাই। টেস্ট জেতা কঠিন হবে কিন্তু অসম্ভব না“-আরও যোগ করেন হান্নান। 
 

ঢাকা/রিয়াদ/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রফরম য ন স ড র কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়

অভাগাদের বছরে ‘কুফা’ কাটানোর তালিকায় সর্বশেষ নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসে গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টেস্টের রাজদণ্ড হাতে পেয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। প্রোটিয়াদের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর শেষ হয়েছে।

তবে এর রেশ থাকতেই চলে এসেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর বা চক্র। ২০২৫-২৭ চক্রের শুরুটা হচ্ছে বাংলাদেশকে দিয়েই। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।

ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণে বাংলাদেশ প্রায় ২৫ বছর পার দিলেও রেকর্ড ভালো নয়। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসার পর থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ক্রমশ উন্নতির দিকে।

প্রথম চক্রে (২০১৯-২১) কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় চক্রে (২০২১-২৩) মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে বলার মতো কিছু নেই। প্রথম দুই চক্র শেষ করতে হয়েছে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে।

তবে তৃতীয় চক্রে (২০২৩-২৫) বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ আশাব্যঞ্জক। ১২ টেস্ট খেলে জিতেছে চারটিতে। এর মধ্যে গত বছর পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের সুখস্মৃতিও আছে। পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান ছিল সাত নম্বরে; পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপরে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশ খেলেছে ৩১ টেস্ট। জিতেছে পাঁচটি, ড্র করে দুটি আর হেরেছে ২৪টি।

এবার কী হবে? শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণীই শুনিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল। তিনি বলেছেন, ‘গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। লক্ষ্য থাকবে এই চক্রে কীভাবে আরও একটা-দুইটা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।’ সেটা কতটুকু সম্ভব, সময়ই বলে দেবে।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগের তিন চক্রের মতো এবারও অংশ নিচ্ছে ৯ দল। প্রত্যেক দল খেলবে ছয়টি করে সিরিজ—তিনটি নিজেদের মাঠে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। পয়েন্ট সিস্টেমেও কোনো পরিবর্তন আসেনি (জিতলে ১২, ড্র করলে ৪, টাই করলে ৬ পয়েন্ট)।

তবে এবার ম্যাচের সংখ্যা গত দুবারের চেয়ে একটি বেড়েছে। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭১টি, সিরিজ ২৭টি। প্রত্যেক সিরিজেই সর্বনিম্ন দুই ও সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ হবে।

চতুর্থ চক্রের ফাইনালও লর্ডসে আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ম্যাচ হবে ২০২৭ সালের জুনে। ফাইনালের আগে শেষ সিরিজ হবে সেই বছরের মার্চে; পাকিস্তানে দুটি টেস্ট খেলতে যাবে নিউজিল্যান্ড।

এবার সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। সবচেয়ে কম ১২টি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা, যাদের সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের চক্র। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ এই একটিই। নাজমুল-মুশফিক-তাইজুলদের বাকি পাঁচ সিরিজই ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। সব সিরিজেই দুটি করে ম্যাচ।

২০২৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ মার্চে, ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই বছরের আগস্টে দল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০০৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেটিই হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রথম টেস্ট সিরিজ।

এই চক্রে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সিরিজ খেলবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে; খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের মাসে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। বাংলাদেশের শেষ সিরিজ দেশের মাটিতেই; ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসবে ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর এটিই হবে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ।

অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো খবর হলো ২০২৫-২৭ চক্রে বাংলাদেশ যে ছয় দলের বিপক্ষে খেলবে, এর চারটির বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে তারা হারেনি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছে আর পাকিস্তানকে করেছে ধবলধোলাই (দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়)। সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কা আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন অধিনায়ক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তামিমের
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
  • ব্রাজিলে আলোকাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • ব্রাজিলে আলো কাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির 
  • কোচ কাবরেরার পদত্যাগ দাবি, অনিশ্চয়তায় ভবিষ্যৎ