আল হিলালের বিপক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু করবে রিয়াল মাদ্রিদ। ওই ম্যাচের আগে ব্লাঙ্কোস ফুটবলারদের কড়া বার্তা দিয়েছেন কোচ জাবি আলোনসো।

সংবাদ মাধ্যম কাদেনা ছের দাবি করেছে, আলোনসো শিষ্যদের বলে দিয়েছেন, সকলকেই বলের পেছনে ছুটতে হবে। সে কিলিয়ান এমবাপ্পে হোন কিংবা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এমনকি গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়াকেও। তিনি তারকা দেখবেন না। কথার এদিক-ওদিক হলে বেঞ্চে বসিয়ে দেবেন।

কাদেনা ছের সূত্রের বরাত দিয়ে লিখেছে, ‘আলোনসো তার নতুন শিষ্যদের বলেছেন- চেষ্টার সামান্য ক্রুটি মানে খেলারও সুযোগ নেই।’ এমনকি এমবাপ্পেকেও বলের পেছনে দৌঁড়াতে হবে এবং প্রেস করতে হবে। আলোনসো সবকিছুর আগে দলটির অনিয়মিত প্রেসিং ফুটবল বন্ধ করতে চান। দলে কঠোর নিয়মানুবর্তিতা প্রতিষ্ঠা করতে চান।

সংবাদ মাধ্যম এও দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত জাবি আলোনসো রিয়ালের চার ফুটবলারকে শুরুর একাদশে রাখার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তারা হলেন- ডিফেন্ডার হুইসেন ও ট্রেন্ট অ্যালেক্সজান্ডার অর্নাল্ড এবং ফরোয়ার্ড লাইনে এমবাপ্পে এবং ভিনিসিয়াস। তবে সিস্টেম মেনে না খেললে বেঞ্চে বসিয়ে দিতে দু’বার ভাববেন না তিনি।

আলোনসো শিষ্যদের বলেছেন, ‘যে-ই না দৌড়ে শক্তি সঞ্চয় করে রাখবে, সে একটা হলুদ কার্ড পাবে। দু’বার একই কাজ করা মানে লাল কার্ড।’ আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, লাল কার্ড মানে এক ম্যাচ বেঞ্চে বসে থাকা। এই শর্ত থিবো কর্তোয়ার জন্যও প্রযোজ্য। আলোনসো তার প্রতি খেলোয়াড়ের থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দেখতে চান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ফ ক ল ব ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী

আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।

রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ