কাপাসিয়ায় বাসের ধাক্কায় মা-ছেলেসহ অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত
Published: 17th, June 2025 GMT
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মা-ছেলেসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে উপজেলার ঢাকা-কিশোরগঞ্জ সড়কের জামিরারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজন হলেন কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার কমলবুক গ্রামের মো. তানভীরের স্ত্রী রত্না আক্তার (২৩) ও তাঁর তিন বছর বয়সী ছেলে মো.
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গাজীপুর যাওয়ার পথে কাপাসিয়ার জামিরারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গাজীপুর থেকে কিশোরগঞ্জগামী অনন্যা পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে অটোরিকশার যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত রত্নাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে সন্ধ্যায় তিনিও মারা যান।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কৃষ্ণ কুমার দাস বলেন, দুজনকে হাসপাতালে মৃত আনা হয়। গুরুতর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক সোহাগ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ গ র তর উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।