গাজীপুরের সড়কে ঝরল মা-ছেলেসহ ৩ জনের প্রাণ
Published: 17th, June 2025 GMT
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সিএনজি চালিত অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় মা ও ছেলেসহ তিনজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো তিনজন। তারা কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে ঢাকা-কাপাসিয়া-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নের জামিরারচর পল্লী বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
মারা যাওয়ারা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার কৃষ্টপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মো.
আরো পড়ুন:
মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ট্রাক চাপায় যুবকের মৃত্যু
আহতরা হলেন- নিহত তৌহিদুলের বাবা আবুল কালাম (৫৫), মা তাছলিমা বেগম (৪৫) ও বোন সুবর্ণা আক্তার (২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ থেকে দুইটি পরিবারের ছয়জন যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা গাজীপুর চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিল। বিকেল ৩টার দিকে জামিরারচর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কিশোরগঞ্জগামী অনন্যা ক্লাসিক পরিবহনের বাস (চট্টগ্রাম মেট্রো-ব ১১-১০৯৪) অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই তৌহিদুল এবং শিশু শায়ান মারা যান।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রত্না আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পথেই তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর বাসচালক বাসটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ অটোরিকশাটি জব্দ করলেও চালক আলমগীর হোসেন পলাতক।
কাপাসিয়া থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, দুর্ঘটনার পর নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকা/রফিক/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত ক শ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ