ফলের বাজার এখন আমে ভরপুর। আম শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রাকৃতিক সুগার রয়েছে। অনেকেই দিনে কয়েকটা পর্যন্ত আম খান। কেউ আবার আমের জুস, আইসক্রিম, আমের সন্দেশ বানিয়ে খেতে পছন্দ করেন।
অনেকেই হয়তো জানেন না আম খাওয়ার সঠিক এবং ভুল সময় আছে। আর ভুল সময়ে আম খেলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এ কারণে আম খাওয়ার আগে কিছু ছোট ছোট বিষয়ও মাথায় রাখা উচিত। যেমন-
বাজার থেকে আনার পর অথবা রেফ্রিজারেটর থেকে বের করার সাথে সাথে আম খাবেন না। খাওয়ার আগে অন্তত ২ ঘণ্টা পানিতে আম ভিজিয়ে রাখুন। তারপর খাওয়ার আগে আবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে আমের মধ্যে উপস্থিত থার্মোজেনিক বৈশিষ্ট্য হালকা হয়ে যায়। যে কোনও ধরণের সমস্যার সম্ভাবনা কমে যায়।
ফলের পুষ্টিগুণ তখনই শরীরের উপর প্রভাব ফেলে, যদি এগুলি সকালে বা সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের আগে খাওয়া হয়। সন্ধ্যার পর আম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। সকালের নাশতায় বা খালি পেটে আম খাবেন না। তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। নাশতার বেশ কিছুক্ষণ পরে আম খেতে পারেন।
অনেকে ভারী খাবার খাওয়ার পর আম খেতে পছন্দ করে। এটি প্রতিদিনের খাবারের পর খাওয়া উচিত নয়। সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৫ টার মধ্যে আম খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন
আপনি গোলরক্ষক। তাহলে আপনার মতো দুর্ভাগা আর কে আছে!
কেন এমন বলা, সেটি বোঝার জন্য এবারের দলবদল মৌসুমে একটু চোখ বোলালেই হবে। এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে—বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হলেও দলবদলের বাজারে খুব একটা কদর মেলে না। মাঠের অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে।
সবচেয়ে বড় উদাহরণ পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পাশাপাশি ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন ও এসি মিলানের মাইক মাইনিয়ঁর কথাও বলা যায়। এ তিনজনই নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ১০ গোলরক্ষকের মধ্যে পড়েন। অনেকের চোখে আবার সেরা পাঁচেই জায়গা তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যদি ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার বা ডিফেন্ডার হতেন, তাহলে তাঁদের এজেন্টদের ফোন বেজেই চলত। আর তাঁদের ক্লাব চুক্তি নবায়নের জন্য পাগল হয়ে উঠত।
কিন্তু গোলকিপার হওয়ায় তাঁদের বাস্তবতা ভিন্ন। পিএসজি ইতিমধ্যেই লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে নিতে যাচ্ছে (যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি)। ম্যানচেস্টার সিটিও বার্নলির জেমস ট্রাফোর্ডকে এনেছে গোলরক্ষকদের জন্য ব্রিটিশ ট্রান্সফার ফি রেকর্ড গড়ে। দোন্নারুম্মার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, এদেরসনের জন্য গালাতাসারাইয়ের, আর মাইনিয়ঁর জন্য চেলসির আগ্রহের কথা শোনা গেলেও কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা