গাংনীতে ‘শ্যালো ইঞ্জিনচালিত আগলামন’ উল্টে প্রাণ গেল কিশোরের
Published: 18th, June 2025 GMT
মেহেরপুরের গাংনীতে ‘শ্যালো ইঞ্জিনচালিত আগলামন’ উল্টে নাহিদ হোসেন (১৭) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুই জন।
বুধবার (১৮ জুন) বেলা ৩টার দিকে গাংনী-সাহারবাটি সড়কের ইবাদত খানা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাহিদ হোসেন উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের এলাঙ্গি গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে।
নিহতের এক বন্ধু আজমাইন জানায়, তারা তিন জন সাহারবাটি গ্রামে মাছ রাখার ড্রাম ও অক্সিজেন নিতে গিয়েছিল। ফেরার পথে আগলামন উল্টে তারা আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
সৈয়দপুরে বাসের ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
গাজীপুরের সড়কে ঝরল মা-ছেলেসহ ৩ জনের প্রাণ
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসমেরি খাইরুন নাহার বলেন, ‘‘নাহিদকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়।’’
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বনি ইসরাইল বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/ফারুক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
বরগুনায় সমন্বয়ক পরিচয়ে দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে মারধর
বরগুনায় সমন্বয় পরিচয়ে দোকানে ঢুকে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অন্য ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে ফেলেন।
শনিবার (২ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বরগুনা পৌর শহরের বিবি সড়কের একটি কাপড়ের দোকানে এ হামলা হয়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. জসিম বরগুনা শহরের লেডিস পয়েন্ট নামের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, জসিমের শিশু সন্তানের সঙ্গে ইয়াসমিন তানিয়া নামের এক পথচারী নারীর ধাক্কা লাগে। এতে জসিমের শিশুসন্তান ছিটকে পড়ে যায়। এ নিয়ে জসিম এবং ওই নারী মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে ডাকেন বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
এ সময় সেখানে সমন্বয়ক পরিচয়ে লোকজন নিয়ে উপস্থিত হন ইয়াসমিন তানিয়ার ছেলে সিনহা রহমান। উভয় পক্ষের কথোপকথনের একপর্যায়ে সিনহা জসিমের ওপর হামলা করেন। এ সময় অন্য ব্যবসায়ীরা বাধা দিতে আসলে তাদেরকেও মারধর করার হুমকি দেন সিনহা। এতে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. জসিম বলেছেন, “আমি আমার সন্তানকে নিয়ে খাবার কিনতে যাচ্ছিলাম। এ সময় এক পথচারী নারী আমার সন্তানকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় ওই নারী কোনো প্রকার সহানুভূতি না দেখিয়ে উল্টো বলেন, দেখে হাঁটতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পর যে যার মতো চলে যাই। পরে ওই নারী তার ছেলেকে জানালে বিষয়টির মীমাংসা করতে আমাকে ডাকেন বস্ত্র ব্যবসয়ী সমিতির নেতারা। সেখানে উপস্থিত হলে সবার সামনেই আমাকে মারধর করেন নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করা সিনহা। আমি এ হামলার বিচার চাই।”
এ বিষয়ে বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন আর রশিদ বলেছেন, “জসিমের সঙ্গে এক নারী পথচারীর বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার একপর্যায়ে ওই নারীর ছেলে সিনহা ও সঙ্গে থাকা আরেক ছেলে দোকানে উঠে জসিমকে মারধর শুরু করে। এ সময় আমরা তাদেরকে থামাই। সিনহা আমাদেরকেও মারধর করার হুমকি দেন। আমাদের গালিগালাজ করতে করতে বলেন, ‘তোরা আওয়ামী লীগের দালাল, আমরা আন্দোলন করে তোদের বিদায় করেছি।’ এ ঘটনার পরপরই ব্যবসায়ীরা সকল দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার না হলে আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।”
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াকুব হোসাইন রাইজিংবিডি ডটকমকে জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক