ফতুল্লায় ছেলের হত্যাকারী বাবা-মা গ্রেপ্তার
Published: 19th, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শিয়াচর লালখা এলাকায় বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত যুবক জনি সরকারের বাবা ও মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ জুন) রাতে তাদেরকে ফতুল্লার লালখা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার সকালে ফতুল্লার শিয়াচর লালখা এলাকা থেকে বস্তাবন্দি নিহত জনি সরকারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর নিহত জনির বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো নিহত রাজু সরকারের বাবা করুনা সরকার (৫৩) ও মা অনিতা রানী সরকার(৪৮)। তারা স্বপরিবারে ফতুল্লার শিয়াচর লালখা এলাকায় দুলালের বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে পুলিশের নিকট হত্যাকান্ডের কথা উভয়েই স্বীকার করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, নিহত জনি সরকার মাদকসক্ত এবং বখাটে স্বভারের ছিলো। মাদকের টাকার জন্য প্রতিনিয়ত জনি সরকার তার বাবা-মাকে চাপ প্রয়োগ সহ মারধর করতো। সোমবার রাতেও টাকার জন্য খারাপ ব্যবহার করে। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে জনি সরকার ঘুমিয়ে পরে। ঘুমন্তবস্থায় রাজু সরকারকে প্রথমে রুটি বানানোর কাঠের তৈরি বেলুন দিয়ে মাথায় এবং মুখে আঘাত করে। এতে জনি সরকার অচেতন হয়ে পরলে নিহতের বাবা শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত করে। পরে রাত দুইটার দিকে হাত -পা বেধে একটি বস্তায় ভরে নিহতের বাবা নিজেই মাথায় করে লালখা মোস্তফার বাড়ীর গলির ড্রেনে ফেলে রেখে যায়।পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর নিহতের বাবা নিজেই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত নেমে সিসিফুটেজের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিহতের বাবা-মাকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উভয়েই হত্যা কান্ডের বিষয়টি স্বীকার করে ঘটনার বর্ননা দেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বক ন র য়ণগঞ জ ন হত র ব ব সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে কারখানার শ্রমিক হত্যায় যুবকের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর লালবাগে কারখানার শ্রমিক মো. হোসেনকে (২৪) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মো. আবির নামের এক যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মনোমালিন্যের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, আসামি আবিরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় লালবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. নাজমুজ্জামান জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। পরে আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত সোমবার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আবিরের সঙ্গে নিহত হোসেনের বন্ধু নীরবের কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় হোসেন তাঁর বন্ধুর পক্ষ নিলে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা হলেও আবির তা মেনে নেননি।
এর জেরে মঙ্গলবার বিকেলে হোসেন কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লালবাগের শহিদনগর এলাকায় একটি দোকানের সামনে আবির পেছন থেকে তাঁর পিঠে ছুরি মারেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, আবির ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। হোসেন সেখানে ভাড়া থাকতেন এবং একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।