পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ সিনেমাটি ঈদের দুই সপ্তাহ পরও হাউজফুল যাচ্ছে
Published: 22nd, June 2025 GMT
সিনেমা হলে নতুন রঙে পুরোনো আবেগকে ফিরিয়ে আনছে সিনেমা ‘উৎসব’। পরিবার নিয়ে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার যে অভ্যাসটি অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছিল, ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া তানিম নূর পরিচালিত এই সিনেমাটি যেন সেই পুরোনো অভ্যাসকেই ফিরিয়ে আনছে নতুন উদ্দীপনায়।
দর্শকদের কথায়, ‘উৎসব’ শুধুই একটি সিনেমা নয়-এ যেন এক স্মৃতির জানালা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে প্রেক্ষাগৃহের দর্শক সারি, সর্বত্রই এখন একটাই প্রতিক্রিয়া, এই সিনেমা দেখতে গিয়ে অনেকেই ফিরে গেছেন নিজের অতীতে, পরিবারের সঙ্গে কাটানো অমূল্য সময়ের স্মৃতিতে।
মুক্তির পর পেরিয়ে গেছে টানা দুই সপ্তাহ, তবু হলে দর্শকের ভিড় থামছেই না। বরং দিন যত যাচ্ছে, তত বাড়ছে আগ্রহ। ঢাকার প্রেক্ষাগৃহগুলোর অবস্থা এমন, আজ শনিবারের টিকিট নেই বললেই চলে, রোববারের অনেক শোও ইতিমধ্যে ‘সোল্ড আউট’। এমন হাউসফুল পরিস্থিতি বিরলই বলতে হয়।
এই মুহূর্তে দেশে সিনেমাটির মোট ৩১টি শো চলছে-এর মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সে ২৪টি, ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ৫টি এবং লায়নস সিনেমাসে ২টি। ১৪ দিনের মাথায় ‘উৎসব’ সিনেমার আয় দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকারও বেশি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া ছয়টি ছবির মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় থাকা শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়েই এগোচ্ছে ‘উৎসব’। বড় বাজেটের ছবির ভিড়ে সীমিত বাজেটের এই সিনেমাটি এখন ইন্ডাস্ট্রিতে আশার আলো দেখাচ্ছে।
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ জানালেন, ‘উৎসব’ দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নিতে পেরেছে। তাঁর ভাষায়, ‘পরিবার নিয়ে দেখার মতো সিনেমা খুব কম আসছে এখন। “উৎসব” সেই জায়গায় জায়গা করে নিয়েছে। আমরা খুবই সন্তুষ্ট। তৃতীয় সপ্তাহেও ভালো যাবে বলেই মনে হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা ছবিটির শো আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ডোপ প্রডাকশনস ও লাফিং এলিফ্যান্ট প্রযোজিত এই ছবির গল্প রচনা করেছেন তানিম নূর, আয়মান আসিব স্বাধীন, সুস্ময় সরকার ও সামিউল ভূঁইয়া। অভিনয়ে একে একে জ্বলজ্বল করছে দেশের প্রথম সারির অভিনয়শিল্পীদের নাম,জাহিদ হাসান, জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি ও সাদিয়া।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
দিনভর আনন্দ আয়োজনে সাফল্য উদ্যাপন
ভালো ফলাফলের পাশাপাশি প্রথমে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে হবে। দেশ ও মানুষকে ভালোবাসতে হবে। বই ও জ্ঞানের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ প্রযুক্তির জ্ঞান আহরণ করতে হবে। পাশাপাশি গান, আবৃত্তি, অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেদের সৃজনশীলতা বাড়াতে হবে।
শুক্রবার রংপুরে ‘প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি-প্রথম আলো কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব-২০২৫’-এ কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আমন্ত্রিত অতিথিরা এ কথাগুলো বলেন। ‘স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে, একসাথে’ স্লোগানে প্রথম আলোর আয়োজনে ও প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথমবারের মতো উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রামের পর আজ রংপুরে ছিল দ্বিতীয় আয়োজন। অন্য ছয়টি বিভাগীয় শহরে এ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন। সকাল থেকেই কৃতী শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। নির্ধারিত বুথ থেকে ক্রেস্ট, স্ন্যাকস ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।
রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল থেকে পাস করা শিক্ষার্থী আরেফা খানম এসেছেন এক দিনের জন্য চাপমুক্ত থাকতে। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা পড়াশোনার চাপে বেড়ানোর সুযোগ হয় না। তাই আজকের দিন বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে কাটাতে চান। কুড়িগ্রামের আবদুর রহিম এসএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। প্রথম আলোর সংবর্ধনার কথা উল্লেখ করে বলেন, এইচএসসির কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার এই আয়োজন তাঁর ভালো লাগছে।
রংপুরে ‘প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি-প্রথম আলো কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব-২০২৫’-এ আগত অতিথিরা। শুক্রবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে