প্রতীকী ছবি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ বাড়ার বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ অনেক বেড়ে যাওয়ায় ‘আমরা উদ্বিগ্ন’। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাজেট অনুমোদন পরবর্তী  সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান প্রমুখ এ সময়  উপস্থিত ছিলেন। 

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ কেন বেড়েছে এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘কেন গেল, কীভাবে গেলে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তবে আমাদের অনেক লোকজন দেশের বাইরে রয়েছেন। তারা বাংলাদেশ অর্থ না পাঠিয়ে ওখানে রাখতে পারে। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। কারণ এটি খুব চিন্তার।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের পর পুরো অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ ছিল। সম্ভবত নির্বাচনের পরই ক্ষমতাশীনরা ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিল যে, সময় হয়তো ঘনিয়ে আসছে। সে সময় সম্ভবত অনেকে অর্থ পাচার করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াসলি আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থা এ নিয়ে কাজ করছে।’

প্রসঙ্গত, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের নামে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ২০২৪ সাল শেষে তাদের দেশের ব্যাংকগুলোর লেনদেন স্থিতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। 

এতে দেখা যায়, ২০২৪ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশিদের নামে জমা রয়েছে রয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ।  বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে ) যার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে ছিল মাত্র ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ। এখনকার বিনিময় হার ধরলে যার পরিমাণ ৩৯৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ। 

সুইস ব্যাংকে থাকা অর্থের একটি অংশ পাচার হয়ে থাকে বলে ধারণা করা হয়। তবে পাচার সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। এমনকি গ্রাহক আমানত হিসাবে কার কত অর্থ আছে তাও জানা যায় না। সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গোপনীয়তার স্বার্থে সমস্ত ডাটা সমন্বিতভাবে প্রকাশ করে। আলাদাভাবে কোনো গ্রাহক বা ব্যাংকের তথ্য এ প্রতিবেদনে নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ