ক্লাব বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল আর্জেন্টাইনদের, এরপর কারা
Published: 23rd, June 2025 GMT
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে দুটি করে ম্যাচ খেলেছে সব দল। চারটি দলের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা নিশ্চিতও হয়ে গেছে। প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে সাতটি দলের। শেষ ষোলোর অন্য ১২টি জায়গার জন্য লড়াইয়ে আছে ২১টি দল।
শেষ ষোলোতে ওঠার মতো জমজমাট সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইও। ৩টি করে গোল করে এখন পর্যন্ত শীর্ষে আছেন চারজন। বেনফিকার আনহেল দি মারিয়া, বায়ার্ন মিউনিখের জামাল মুসিয়ালা ও মাইকেল ওলিসে এবং জুভেন্টাসের কেনান ইলদিজ আছেন গোল করাদের তালিকার শীর্ষে। ১১ জন খেলোয়াড় করেছেন ২টি করে গোল। ৬১ জন করেছেন ১টি করে গোল।
সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াই জমজমাট হলেও গোলের আরেকটি হিসাবে একচ্ছত্র আধিপত্য আর্জেন্টাইনদের। বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল পর্যন্ত ৩২ ম্যাচে গোল হয়েছে ৯৯টি। এই ৯৯ গোলের ১৬টি করেছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। ১০ গোল করে এরপরই আছেন ব্রাজিল ও জার্মানির খেলোয়াড়েরা।
আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ গোল দি মারিয়ার। ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড লাওতারো মার্তিনেজ করেছেন ২ গোলে। ১১ জন আর্জেন্টাইন করেছেন ১টি করে গোল। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নামটা লিওনেল মেসি। পোর্তোর বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির ২-১ গোলের জয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের মধ্যে এ ছাড়া ১টি করে গোল করেছেন নিকোলাস ওতামেন্দি (বেনফিকা), ক্লদিও এচেভেরি (ম্যানচেস্টার সিটি), হুয়ান পাবলো ফ্রেইতেস (ফ্লুমিনেন্স), এনজো ফার্নান্দেজ (চেলসি), ভালেন্তিন কারবোনি (ইন্টার মিলান), হোসে মানুয়েল লোপেজ (পালমেইরাস), রদ্রিগো বাত্তালিয়া (বোকা জুনিয়র্স), মাক্সিমিলিয়ানো মেজা, সেবাস্তিয়ান দ্রিউসি, ফাকুন্দো কলিদিও (রিভার প্লেট)।
ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ গোল করেছেন বোতাফোগোর ইগর জেসুস। ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ১টি করে গোল করেছেন লুকাস রিবেইরো (মামেলোদি), লুইস আরাউজো, ব্রুনো হেনরিক, ওয়ালেস ইয়ান, দানিলো (ফ্ল্যামেঙ্গো), জেইর কুনিয়া (বোতাফোগো), কেনো ও নোনাতো (ফ্লুমিনেন্স)।
আরও পড়ুনক্লাব বিশ্বকাপে গরম আর ঝড়–বৃষ্টিই শিরোনাম, ২০২৬ বিশ্বকাপে কী হবে২২ জুন ২০২৫ফরাসিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ গোলে বায়ানের মাইকেল ওলিসের। ২ গোল করে করেছেন বায়ার্নের কিংসলি কোমান ও জুভেন্টাসের কোলো মুয়ানি। ১টি করে গোল করেছেন সাচা বোয়ি (বায়ার্ন), রায়ান শের্কি (ম্যান সিটি) ও সেনি মায়ুলু (পিএসজি)।
৩ গোল করেছে বেনফিকার আর্জেন্টাইন তারকা আনহেল দি মারিয়া.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন র গ ল কর ছ ন ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
আত্মঘাতী গোলে প্রমোশনের সুযোগ, এরপর যা ঘটল
সহজ ভাষায় ফুটবল বলতে বোঝায় প্রতিপক্ষের জালে গোল দেওয়া আর নিজেরা গোল না খাওয়া। তবে কখনো কখনো খেলোয়াড়েরা ভুলে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন, ফুটবলে যা আত্মঘাতী গোল হিসেবে পরিচিত। আত্মঘাতী গোল একটি দলকে ম্যাচ হারিয়ে দিতে তো পারেই, ফাইনালে এমন কিছু ঘটলে ট্রফিও হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।
তবে আত্মঘাতী গোল সব সময় খারাপ নয়, কখনো কখনো উপকারীও হতে পারে—আর এমন অদ্ভুতুড়ে এক পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল জার্মান ক্লাব তুর্কস্পোর ন্যুর্নবার্গ। একটি আত্মঘাতী গোল করলেই দলটি লিগে প্রমোটেড হতো। কিন্তু দলটি সেটি করেনি। এরপর যা হয়েছে, তা দলটির জন্য বেদনাদায়ক।
এটি ছিল জার্মানি মিডল ফ্রাঙ্কোনিয়ার ডিস্ট্রিক ফুটবল লিগের ম্যাচ। ওপরের ধাপের লিগে জায়গা করতে দুটি টিকিটের লড়াইয়ে ছিল তিনটি ক্লাব তুর্কস্পোর ন্যুর্নবার্গ, এসভি টেনেনলো এবং গোগেলসবাখ। এর মধ্যে টেনেনলো প্রথম দুই ম্যাচ জিতে পরের ধাপে জায়গা করে নেয়। বাকি জায়গাটির লড়াইয়ে ছিল ন্যুর্নবার্গ ও গোগেলসবাখ। ১৩ জুনের ম্যাচে লিগ প্রমোশনের জন্য গোগেলসবাখকে ২ গোল ব্যবধানে জিততে হতো। বিপরীতে এর কম ব্যবধানে হারলেই প্রমোশন নিশ্চিত ছিল ন্যুর্নবার্গের।
তুর্কস্পোর ন্যুর্নবার্গের লোগো।