‘তবু হে অপূর্ব রূপ, দেখা দিলে কেন কে জানে’– নীলমণিলতাকে দেখে এ গানটি লিখেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি নীল রং পছন্দ করতেন। কারণ নীল রং যেন টিকে থাকার লড়াইয়ে আকাশ-অস্তিত্বের কবজ। আনন্দ প্রকাশে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে প্রয়োগ করেছেন নীল। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো আনন্দ প্রকাশের এই রং সবার মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘বিশ্বরঙ’ উদযাপন করছে ‘বিশ্বরঙ নীল উৎসব-২০২৫’।
দেশীয় উৎসব-পার্বণ উদযাপনে বিশ্বরঙ সবসময়ই অগ্রপথিক। দেশীয় ফ্যাশনকে সংস্কৃতিময় ইতিহাস-ঐতিহ্যের মিশেলে প্রদর্শন করতে ৩০ বছর ধরে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বরঙ বাই বিপ্লব সাহা। ‘বিশ্বরঙ নীল উৎসব-২০২৫’ এরই একটি ধারাবাহিকতা। বিশ্বরঙের সব শোরুমে শুরু হয়েছে নীল পোশাক প্রদর্শনী, যা চলবে মাসব্যাপী। ‘নীল উৎসব’ উপলক্ষে শাড়ি, থ্রিপিস, সিঙ্গেল কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট ইত্যাদিতে তুলে ধরা হয়েছে প্রকৃতি থেকে নেওয়া নীল ফুলের অনুপ্রেরণায় ফ্লোরাল মোটিফ আর নীল-সাদা রঙের বিভিন্ন গ্রাফিক্যাল জ্যামিতিক ফর্মের অনবদ্য উপস্থিতি এবং গরমের কথা মাথায় রেখে কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার উপযোগী আরামদায়ক সুতি, লিনেন, ভয়েল কাপড়। পোশাকগুলোয় নীলের পাশাপাশি রয়েছে প্রাকৃতিক রঙের অনন্য ব্যবহার, কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে টাই-ডাই, ব্লক, বাটিক, অ্যাপলিক, কাটওয়ার্ক, স্ক্রিনপ্রিন্ট ইত্যাদি।
শোরুমে গিয়ে কেনাকাটার সুযোগের পাশাপাশি যে কেউ ঘরে বসে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবেন নীল উৎসবের সব পণ্য।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ল উৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ সিনেমাটি ঈদের দুই সপ্তাহ পরও হাউজফুল যাচ্ছে
সিনেমা হলে নতুন রঙে পুরোনো আবেগকে ফিরিয়ে আনছে সিনেমা ‘উৎসব’। পরিবার নিয়ে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার যে অভ্যাসটি অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছিল, ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া তানিম নূর পরিচালিত এই সিনেমাটি যেন সেই পুরোনো অভ্যাসকেই ফিরিয়ে আনছে নতুন উদ্দীপনায়।
দর্শকদের কথায়, ‘উৎসব’ শুধুই একটি সিনেমা নয়-এ যেন এক স্মৃতির জানালা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে প্রেক্ষাগৃহের দর্শক সারি, সর্বত্রই এখন একটাই প্রতিক্রিয়া, এই সিনেমা দেখতে গিয়ে অনেকেই ফিরে গেছেন নিজের অতীতে, পরিবারের সঙ্গে কাটানো অমূল্য সময়ের স্মৃতিতে।
মুক্তির পর পেরিয়ে গেছে টানা দুই সপ্তাহ, তবু হলে দর্শকের ভিড় থামছেই না। বরং দিন যত যাচ্ছে, তত বাড়ছে আগ্রহ। ঢাকার প্রেক্ষাগৃহগুলোর অবস্থা এমন, আজ শনিবারের টিকিট নেই বললেই চলে, রোববারের অনেক শোও ইতিমধ্যে ‘সোল্ড আউট’। এমন হাউসফুল পরিস্থিতি বিরলই বলতে হয়।
এই মুহূর্তে দেশে সিনেমাটির মোট ৩১টি শো চলছে-এর মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সে ২৪টি, ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ৫টি এবং লায়নস সিনেমাসে ২টি। ১৪ দিনের মাথায় ‘উৎসব’ সিনেমার আয় দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকারও বেশি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া ছয়টি ছবির মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় থাকা শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়েই এগোচ্ছে ‘উৎসব’। বড় বাজেটের ছবির ভিড়ে সীমিত বাজেটের এই সিনেমাটি এখন ইন্ডাস্ট্রিতে আশার আলো দেখাচ্ছে।
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ জানালেন, ‘উৎসব’ দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নিতে পেরেছে। তাঁর ভাষায়, ‘পরিবার নিয়ে দেখার মতো সিনেমা খুব কম আসছে এখন। “উৎসব” সেই জায়গায় জায়গা করে নিয়েছে। আমরা খুবই সন্তুষ্ট। তৃতীয় সপ্তাহেও ভালো যাবে বলেই মনে হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা ছবিটির শো আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ডোপ প্রডাকশনস ও লাফিং এলিফ্যান্ট প্রযোজিত এই ছবির গল্প রচনা করেছেন তানিম নূর, আয়মান আসিব স্বাধীন, সুস্ময় সরকার ও সামিউল ভূঁইয়া। অভিনয়ে একে একে জ্বলজ্বল করছে দেশের প্রথম সারির অভিনয়শিল্পীদের নাম,জাহিদ হাসান, জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি ও সাদিয়া।