বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করা। গত ১০ মাসেও সেটি হয়নি। যদিও সশস্ত্র বাহিনী দিবসে কিছু কথাবার্তা হয়েছে। রাজনৈতিক ইস্যুতে আলোচনার প্রত্যাশা ছিল বিএনপির।” 

তিনি বলেন, “আগামীর দেশ পরিচালনা, হাসিনার বিচার ও নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন। বিএনপি আশা করে, ভবিষ্যতে অন্তর্বর্তী সরকার এ দায়িত্ব পালন করবে।”

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘মব জাস্টিস’: তারেক রহমান

খুলনায় এসআইকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ 

এ্যানি বলেন, “আমরা সবাই দেশের কল্যাণে একমত হয়ে আন্দোলনে নেমেছিলাম। তাই এখন বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে দল ও জনগণের মধ্যে ভুল বার্তা দেওয়া ঠিক নয়।”

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকেই দলটির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। রক্ষীবাহিনী দিয়ে মানুষকে দমন, দুর্নীতি, দুর্ভিক্ষ এবং দুঃশাসনের ইতিহাস আওয়ামী লীগের। গত ১৭ বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। লুটপাট, বিরোধী মত দমন ও স্বৈরশাসনের মাত্রা আরো বেড়েছে।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের রাজনীতি করেনি, করে না। তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে প্রভাব বিস্তার, ভয়ভীতি ও দুর্নীতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা খুন ও নির্যাতনের রাজনীতির ধারক। তাই মানুষ জুলাইয়ের আন্দোলনে রাস্তায় নেমে তাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। এখন জনগণ অপেক্ষায় আছে—এই দুঃশাসনের মূল হোতাদের বিচারের দিন কবে আসবে।”

চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বচন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও বিএনপি নেতা ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট হাফিজুর রহমান, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক বেল্লাল হোসেন, যুগ্ন আহ্বায়ক গোলাম সরওয়ার, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, ছাত্রদল নেতা দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া বাবু, মো.

খালেদসহ আরও অনেকে। 

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে: তারেক রহমান 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে।”

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আরো পড়ুন:

নির্বাচন ঘিরে সরগরম কেরাণীগঞ্জের রাজনীতি

হেভিওয়েটদের বিপক্ষে এনসিপির প্রার্থী হচ্ছেন যারা

তারেক রহমান বলেন, “সামনের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে। জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে বিএনপির পরিকল্পনা তুলে ধরতে হবে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এই দেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়-মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষাই আজ সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি।”

তারেক রহমান বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে স্বৈরাচারী শাসনের অধীনে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণের ঘটনা ঘটেছে।”

তিনি বলেন, “শত শত মানুষ হত্যা, গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বহু মানুষকে। অনেকে ফিরে আসেনি। যারা ফিরেছে, তাদের শরীরে নির্যাতনের নির্মমতা লেগে রয়েছে।”

বিগত সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আইটি পার্ক ও অবকাঠামোর নামে যেসব প্রকল্প হয়েছে, তার অনেকগুলোই আজ অব্যবহৃত পড়ে আছে—সেখানে গরু-ছাগল চরে বেড়াচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আমরা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরব। প্রয়োজনে এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধও করব।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা চাই না আর কোনো আবরার নির্মম হত্যার শিকার হোক। আমরা চাই না শহিদুল আলমের মতো কাউকে রাজনৈতিকভাবে নির্যাতনের মুখে পড়তে হোক। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জীবন ও সম্মান রক্ষাই আমাদের প্রথম কাজ।”

তারেক রহমান জানান, জাতীয়তাবাদী দর্শনই মানুষের সম্মান, নিরাপত্তা ও সমতার অধিকার নিশ্চিত করে। মানুষের মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির রাজনীতির মূল ভিত্তি।

নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাদের পক্ষে রায় দিলে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালুর মাধ্যমে নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করব। নারীসমাজকে শক্তিশালী না করলে দেশ এগোবে না।”

শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাষা শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে কর্মসংস্থানে সংকটে না পড়ে। দেশের ডাটাবেইস ধরে বিদেশে কর্মসংস্থানের পথও উন্মুক্ত করা হবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের খাল খনন করতে হবে, পরিবেশ রক্ষায় ২৫ কোটি গাছ লাগাতে হবে।”

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন হাবিব উন নবী খান সোহেল, ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, আমিনুল হক, হাসান জাফির তুহিন, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, এস এম জিলানী প্রমুখ।

ঢাকা/আলী/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভোটের মাঠে জোটের ভিড়ে জনপ্রত্যাশা কোথায় গেল 
  • পার্বত্য ৩ আসনে প্রার্থী না দিতে জাতীয় দলগুলোর প্রতি আহ্বান ইউপিড
  • শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান ইসলামী ফ্রন্টের
  • তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
  • ‘নির্বাচন সহজ হবে না, পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামতে হবে’
  • আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে পুরোপুরিভাবে জয়লাভ করতে হবে: নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল
  • বাবুগঞ্জে এবি পার্টির ফুয়াদের বিরুদ্ধে ঝাড়ুমিছিল
  • নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জেলেনস্কি
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরবে: গয়েশ্বর
  • যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে: তারেক রহমান