প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডন বৈঠকের মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধান রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের চলতে থাকা সংকট আপাতত কাটল।

অন্তর্বর্তী সরকার এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করলেও এই লন্ডন বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচন এখন ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে হবে বলে একটি ঐকমত্যে পৌঁছা সম্ভব হয়েছে।

এখন অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ন্যূনতম সংস্কার বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুত কাজ চালিয়ে যাবে—সেই প্রত্যাশাও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ব্যক্ত করেছেন। এ বিষয়ে দৃশ্যমান সাফল্য অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য হিসেবেও বিবেচিত হবে।

এমতাবস্থায় সংস্কার, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও নির্বাচন নিয়ে একটি বিস্তারিত রূপরেখা প্রণয়ন জরুরি। কেননা ফেব্রুয়ারিতে যদি নির্বাচন করতে হয়, তাহলে হাতে খুব বেশি সময় নেই। তাই সঠিক পরিকল্পনা জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, ন্যূনতম সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন—এই তিনটি ক্ষেত্রে সাফল্য নিয়ে আসতে পারে।

আমরা জানি, জুলাই ২০২৪ সালে সংঘটিত নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও বিগত সময়ের কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বিচারপ্রক্রিয়া চলমান। এই চলমান প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরকারের সংস্কার নিয়ে একটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মপরিকল্পনা সাজানো প্রয়োজন। এর মধ্যে দেখতে হবে কোন কোন সংস্কার অতি জরুরি এবং নির্বাচনের আগেই তার বাস্তবায়ন প্রয়োজন। সেসব সংস্কারকে চিহ্নিত করতে হবে। কেননা ন্যূনতম সংস্কার ব্যতীত নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় গেলে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন হিসেবে থেকে যাবে।

সংস্কার নিয়ে ইতিমধ্যেই জনমনে একধরনের হতাশা বিদ্যমান। এটি দূর করার জন্য সরকারকে দৃশ্যমান কিছু পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংস্কারকে দুই ধাপে বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া যেতে পারে এবং সেটি একটি যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। সেটি হলো নির্বাচন–পূর্ব এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে সংস্কার।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের মাধ্যমে যদি একমত হওয়া যায় এবং তাদের প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়, তাহলেই এসব বাস্তবায়ন করা সম্ভব। মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের লন্ডন বৈঠকের মাধ্যমে আমরা সেই ঐকমত্যের ইঙ্গিত পাই। বর্তমান বাস্তবতায় একে আরও বৃহত্তর ঐকমত্যে রূপান্তর করা অসম্ভব কিছু নয়।

নির্বাচন-পূর্ব সংস্কারগুলো চিহ্নিত করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো এবং অংশীজনদের সঙ্গে অতিদ্রুত সংলাপে বসা এখনকার প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

এখানে মৌলিক কিছু সংস্কারের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর একমত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সেটা যদি করা না হয়, তাহলে নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত তারিখ ঠিক রাখাও কঠিন হয়ে পড়তে পারে। সেটি হলে দেশ আবারও রাজনৈতিকভাবে একটি সংকটের মুখে পড়বে।

তাই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে সংস্কার এবং নির্বাচন প্রশ্নে একটি সৌহার্দ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকেও একটি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

সংস্কার প্রসঙ্গে জুলাই সনদ, সংবিধান, ইলেকশন কমিশন এবং নির্বাচনব্যবস্থা, সংসদীয় ব্যবস্থা, রাজনৈতিক দলের মধ্যকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, প্রশাসনিক ও বিচারব্যবস্থাসহ আরও যে বিষয়গুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে পারে, সেগুলো চিহ্নিত করে বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ হাতে নিতে হবে।

যাতে করে নির্বাচনের আগে অন্তত কিছু জরুরি ও ন্যূনতম সংস্কারের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা যায়।

নির্বাচন-পূর্ব সংস্কারপ্রক্রিয়া বাস্তবায়নের শুরু হয় অন্তর্বর্তী সরকারের হাত ধরে যা চলমান এবং নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের দায়িত্ব হবে সংস্কারের বাকি প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়ন করা।

এ জায়গায় অবশ্য অনেকের দ্বিধা থাকতে পারে, আদৌ কি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে সংস্কার চলমান থাকবে?

যদিও বাংলাদেশের অতীত ও বর্তমান বাস্তবতায় নির্বাচিত সরকারের সংস্কারপ্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থার অভাব ঐতিহাসিক হলেও এবারের বাস্তবতায় রাজনৈতিক দলগুলোকে সেই প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যেন তারা যৌক্তিক, প্রয়োজনীয় ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ ইতিবাচক পদক্ষেপ হাতে নেয়।

জনগণ যেন এবার উপেক্ষিত থেকে না যায়, সেই বিষয়গুলোও আমাদের সংস্কার প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের স্বার্থকে সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সত্যিকার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

এর সঙ্গে আমরা এটাও দেখছি যে রাজনৈতিক দলগুলো বারবারই বলছে যে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেও অনেক সংস্কার করা সম্ভব এবং তারা সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যথেষ্ট আগ্রহী। রাজনৈতিক দলগুলোকে কীভাবে এই প্রতিশ্রুতির বিষয়ে একটি জবাবদিহির আওতায় আনা যায় সে বিষয় নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন। এর সঙ্গে একমত হওয়া সংস্কারগুলো যেন দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই হয়, সে বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন।

তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি জবাবদিহির আওতায় আনার একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যেন তারা জনগণের কাছে কেবল প্রতিশ্রুতি দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ না করে বরং তারা যেন সেটি বাস্তবায়ন করতে পারে।

একটি গ্রহণযোগ্য জুলাই সনদের মাধ্যমে এর শুরু হতে পারে। আমরা দেখছি যে জুলাই সনদের আলোচনা চলমান এবং ঐকমত্য কমিশন সেটি নিয়েও কাজ করছে। জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন–পরবর্তী সংস্কার বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা তৈরি করা যেতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলো যদি তাদের নির্বাচনের ইশতেহারে সংস্কার প্রস্তাবনাগুলোকে তাদের প্রস্তাবিত নিজ নিজ কার্যাবলির সঙ্গে সমন্বয় করার মাধ্যমে একটি ঐকমত্যে আসতে পারে, তাহলে তাদের ওপর জনগণের আস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে।

কিছু মৌলিক বিষয়ে একমত হওয়ার রাজনৈতিক সদিচ্ছা রাজনৈতিক দলগুলোর যে রয়েছে, তা দৃশ্যমান। যে কারণে নির্বাচন–পরবর্তী সংস্কারের একটি বিস্তারিত দিকনির্দেশনা ও রূপরেখা তৈরি করে জনসাধারণের সম্মুখে উত্থাপন করা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও একটি ইতিবাচক বিষয় হবে।

পাশাপাশি এটি নির্বাচিত সরকারের জন্য জনগণের প্রত্যাশা পূরণের একটি প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের দলিল হিসেবেও থেকে যাবে। সেটি করা গেলে সংস্কারবিষয়ক সেই প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারকে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার চাইলেই খুব সহজেই উপেক্ষা করতে পারবে না।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোরও ইতিবাচকভাবে দেশের স্বার্থে একমত হতে হবে এবং এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। একে অপরকে দোষারোপ করা ও সহিংসতার যে ঐতিহাসিক রাজনৈতিক চর্চা আমাদের রয়েছে, তা থেকে বের হয়ে আসার এখনই সময়। জনগণকে স্বস্তিময় একটি ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়ার মাধ্যমে তারাও একটি ইতিবাচক ও গণবান্ধব এবং স্থায়ী রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি বৃহৎ ও জনপ্রিয় দল হিসেবে বিএনপি সেই নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোকে সব সময় মনে রাখতে হবে, যৌক্তিক ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রস্তাবিত সংস্কার বিষয়ে যেন রাজনীতি কোনো বাধা হয়ে না দাঁড়ায় এবং সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে কাজ করে যেতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলো দেশ পুনর্গঠনের যে ঐতিহাসিক সময়ের দ্বারপ্রান্তে, সেই সুযোগ তারা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে দেশ, জনগণ ও তারাই লাভবান হবে। যদিও রাজনৈতিক দলগুলো সব সময় জনগণের স্বার্থে কাজ করার কথা বলে থাকে কিন্তু দিন শেষে তাদের স্বার্থ অনেকাংশেই উপেক্ষিত থেকে যায়।

জনগণ যেন এবার উপেক্ষিত থেকে না যায়, সেই বিষয়গুলোও আমাদের সংস্কার প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের স্বার্থকে সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সত্যিকার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

তাই সবাইকে ছাড় দেওয়ার মনমানসিকতার মধ্য দিয়ে দেশের স্বার্থে সংস্কার, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও নির্বাচন নিয়ে ঐক্যে পৌঁছানো প্রয়োজন এবং সবাই মিলে একমত হওয়া সংস্কার যেন দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই হয়, সে বিষয়ে সাংবিধানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন।

বুলবুল সিদ্দিকী সহযোগী অধ্যাপক, রাজনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ল ই হত য ক ণ ড র ব চ র ন র ব চ ত সরক র র ন য নতম স স ক র একমত হওয় জ ল ই সনদ ক ব যবস থ সরক র র স প রস ত ব প রক র য় র প রস ত ঐকমত য জনগণ র র জন য উপ ক ষ ক জ কর ন র জন র র জন ও একট চলম ন র একট

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল একমত: জোনায়েদ সাকি

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, একজন ব্যক্তি এক জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, এমন একটি প্রস্তাব আলোচনায় এসেছে এবং এতে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল সম্মতি প্রকাশ করেছে।

রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকের পঞ্চম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন—এমন বিষয়ে একমত হয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। তিনটি রাজনৈতিক দলের ভিন্ন প্রস্তাব ছিল এবং সবশেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দলগুলো তাদের নিজস্ব ফোরামে আলোচনা করে কিংবা পারস্পরিক আলোচনা করে আগামী বুধবার এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে।

বৈঠকের দ্বিতীয় পর্বে রাষ্ট্রের মৌলিক নীতি নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, এই বিষয়ে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়নি। বিভিন্ন দলের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মতামত থাকায় এখনই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে ঐকমত্য কমিশন এ বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রস্তাব তৈরি করে আবার উপস্থাপন করবে এবং সেটি নিয়ে পরবর্তী আলোচনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভিত্তি ছিল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও সেই সময়ের ঘোষণাপত্র। সেই ঘোষণায় সাম্য, মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল এবং সেটাই ছিল দেশের প্রথম সংবিধানের মূল ভিত্তি। এই মূল্যবোধকে সামনে রেখে রাষ্ট্রের মৌলিক নীতি নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ধর্ম, জাতি, বর্ণ কিংবা শ্রেণি—কোনো বৈষম্য চলবে না। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে সব নাগরিকের প্রতি সমান আচরণ নিশ্চিত করা এবং শোষণ ও নির্যাতনের অবসান ঘটানো।’

আগের অসমাপ্ত আলোচনা শেষ করার লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এ দিনের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শর্তসাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছরের বিষয়ে একমত বিএনপি
  • ‘কোনো বিষয়েই একমত হব না, এটাই যেন আলোচনার মূলনীতি’
  • এনসিসির সংশোধিত প্রস্তাবে একমত জামায়াত
  • প্রধানমন্ত্রী পদে ১০ বছরের বেশি নয় সিদ্ধান্তে একমত, এনসিসিতে দ্বিমত
  • প্রধানমন্ত্রী ১০ বছরের বেশি নয় সিদ্ধান্তে একমত, এনসিসিতে অমত
  • বোমা ফেলো না, পাইলটদের এখনই ফিরিয়ে আনো: ইসরায়েলকে ট্রাম্প
  • ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না: ন্যাটো 
  • প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছর, আলোচনায় ঐকমত্য হয়নি
  • প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল একমত: জোনায়েদ সাকি