শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
Published: 25th, June 2025 GMT
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বুধবার অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান এ. কে. আজাদ। এজিএমে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদন গৃহীত ও অনুমোদিত হয়। এছাড়া সভায় ২০২৪ সালের সমাপ্ত বছরে শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের বিষয়টি অনুমোদিত হয়।
সভায় ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান এ.
সভায় অন্যদের মধ্যে ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ ও মহিউদ্দিন আহমেদ, পরিচালক ড. আনোয়ার হোসেন খান, মো. সানাউল্লাহ সাহিদ, হারুন মিয়া, আক্কাচ উদ্দিন মোল্লা, খন্দকার শাকিব আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌহীদুর রহমান, ফকির আখতারুজ্জামান, মো. মশিউর রহমান চমক, মিসেস তাহেরা ফারুক, ফকির মাসরিকুজ্জামান, স্বতন্ত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ ও মো. রিয়াজুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমতিয়াজ ইউ. আহমেদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এম. সাইফুল ইসলাম ও মোস্তফা হোসেন, ব্যাংকের আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজীজ, ব্যাংকের বহিঃনিরীক্ষক আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী এন্ড কোংয়ের পার্টনার মো. আশরাফুজ্জামান, ইন্ডিপেনডেন্ট স্ক্রুটিনাইজার জেসমিন এন্ড এ্যসোসিয়েটসের প্রতিনিধি জেসমিন আক্তার, ব্যাংকের সিএফও মো. জাফর ছাদেক এবং শেয়ার হোল্ডাররা এজিএমে অংশ নেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ হ জ ল ল ইসল ম ব য ক আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%
এশিয়াসহ বিশ্বের চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় চালের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মূলত বাজারে চালের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
থাইল্যান্ডসহ চালের অন্যান্য বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেও চালের দাম কমছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্যসূচক অনুযায়ী, চলতি বছর চালের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এমনকি বিশ্ববাজার চালের দাম আগস্ট মাসে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। খবর দ্য নেশনের
থাইল্যান্ডে চালের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা একদম নতুন কিছু নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চালের দাম কম থাকায় দেশটির কৃষকেরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিতে পারেন।
থাইল্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩৩৫ ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৩৮ ডলার। থাইল্যান্ডের কৃষি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ১৪ বছরে থাই সরকারের জনতুষ্টিমূলক নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৪০ বিালিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলেও একধরনের নীতিগত ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকেরা প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হয়েছেন।
সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ এসেছে। এটাও দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো চালের গুণগত মানের উন্নতি করেছে। আধুনিকতা এনেছে উৎপাদনব্যবস্থায়। ফলে তারা কম খরচে ভালো মানের চাল রপ্তানি করতে পারছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এখনো ভর্তুকিনির্ভর ব্যবস্থায় আটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এফএওর সূচক কমেছেপ্রতি মাসেই খাদ্যমূল্যসূচক করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কেমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৪–এ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা ছিল ১১৩ দশমিক ৬। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক ছিল ১২৫ দশমিক ৭। সেই হিসাবে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।
চালের দামের এই পতন শুরু হয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত ধাপে ধাপে রপ্তানি–নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে তখন। এ ঘটনা চালের বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সব ধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের
অথচ ২০২৪ সালের শুরুতে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। তখন ভারত একের পর এক রপ্তানি সীমাবদ্ধতা জারি করলে ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে মজুতের প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যান্য উৎপাদক দেশেও সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পর থেকে চালের দাম কমতে শুরু করে।