এইচএসসি পরীক্ষা: কেন্দ্র চত্বরে প্রবেশে নতুন নির্দেশনা
Published: 28th, June 2025 GMT
যানজট ও জনদুর্ভোগ এড়াতে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কেন্দ্র চত্বরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
নাটোরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রদল নেতা, সচিবকে শোকজ
প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ অসাধু চক্র পাবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা
বিজ্ঞপ্তিতে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ও আশপাশ এলাকার যানজট ও জনদুর্ভোগ লাঘবে পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কেন্দ্র চত্বরে ঢোকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তবে পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশ সংক্রান্ত আগের নিয়মাবলি বহাল থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্দেশনাটি ঢাকা বোর্ডের আওতাধীন সব এইচএসসি কেন্দ্রের জন্য প্রযোজ্য। এ সংক্রান্ত চিঠির অনুলিপি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এইচএসসির ৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডের অধীন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র পরীক্ষায় ৯ লাখ ১৮ হাজার ২৭৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এতে অনুপস্থিত ছিলেন ১৪ হাজার ৫১৩ জন পরীক্ষার্থী। ১ হাজার ৬০০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এইচএসস পর ক ষ র থ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেননি ১৭ শিক্ষার্থী
প্রবেশপত্র না পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি জামালপুর পৌর এলাকার দড়িপাড়ায় প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৭ শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষা না দিতে পেরে কলেজটির সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বুধবার রাত ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে প্রবেশপত্র না পেয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে হট্টগোল শুরু করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এক পর্যায়ে কলেজের সাইনবোর্ড খুলে ফটকে তালা দিয়ে পালিয়ে যান অধ্যক্ষসহ প্রতিষ্ঠানটির লোকজন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন বাবদ অতিরিক্ত টাকা নিলেও রেজিস্ট্রশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ১০ জন, মানবিকের চারজন ও ব্যবসায়ী শিক্ষার তিনজন শিক্ষার্থী রয়েছে।
অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিম আত্মগোপনে থাকায় তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁর ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা তাসলিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বছর জামালপুর জেলায় ৫২টি কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৫৭৫ শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অংশ নিয়েছে।