টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী লোক উৎসব ‘বেহুলার লাচারি’। প্রতিবছর শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবটিকে ‘শাওনে ডালা’ও বলা হয়। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন নদ-নদীতে স্থানীয় লোকশিল্পীরা এই উৎসবের আয়োজন করেন। ‘বেহুলার লাচারি’–শিল্পীদের সক্ষমতা বাড়াতে সম্প্রতি দিনব্যাপী একটি কর্মশালা হয়েছে।

ইউনেস্কোর অর্থায়নে গত শুক্রবার টাঙ্গাইলের একটি রিসোর্টে ‘শাওনে ডালা ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ ২০২৫’ নামে যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্রতী, সাধনা, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও এলেঙ্গা রিসোর্ট। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন ‘শাওনে ডালা’–গবেষক লাবণ্য সুলতানা।

সাধনার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বেহুলার লাচারির আয়োজক টাঙ্গাইলের স্থানীয় ১০টি দল। দলগুলো হলো মনির অপেরা, ভাই-বোন যাত্রাপালা, মায়ের দোয়া যাত্রাপালা, ভাই ভাই বেহুলা পালা, সুজন বন্ধু যাত্রাপালা, একডালা যাত্রাপালা, নূরনবী যাত্রাপালা, গণেশবাবু নাট্য অভিনয় গোষ্ঠী, শাখারিয়া বেহুলার লাচারি গোষ্ঠী ও লালমিয়া শিল্পীসংঘ।

শিল্পীদের পাশাপাশি কর্মশালায় অংশ নেন শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, নাট্য গবেষণাকেন্দ্র যশোর, শাহিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ জামালপুরের শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা। প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে তাঁরা ‘শাওনে ডালা’–শিল্পীদের কাছ থেকে তাঁদের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

কর্মশালায় ‘বেহুলার লাচারি’ নিয়ে দীর্ঘদিনের গবেষক ও নৃত্যশিল্পী লুবনা মারিয়ামের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। অতিথি ছিলেন সারওয়াত সিরাজ, নৃত্যগুরু সাজু আহমেদ, শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক আফরিনা আফরোজ চৌধুরী, লোকনৃত্যভঙ্গি সংগ্রাহক কামরুল হাসান ফেরদৌস, নৃত্যশিল্পী অর্থি আহমেদ ও সংগীতশিল্পী নির্ঝর চৌধুরী।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দিনভর আনন্দ আয়োজনে সাফল্য উদ্‌যাপন

ভালো ফলাফলের পাশাপাশি প্রথমে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে হবে। দেশ ও মানুষকে ভালোবাসতে হবে। বই ও জ্ঞানের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ প্রযুক্তির জ্ঞান আহরণ করতে হবে। পাশাপাশি গান, আবৃত্তি, অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেদের সৃজনশীলতা বাড়াতে হবে।

শুক্রবার রংপুরে ‘প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি-প্রথম আলো কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব-২০২৫’-এ কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আমন্ত্রিত অতিথিরা এ কথাগুলো বলেন। ‘স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে, একসাথে’ স্লোগানে প্রথম আলোর আয়োজনে ও প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথমবারের মতো উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রামের পর আজ রংপুরে ছিল দ্বিতীয় আয়োজন। অন্য ছয়টি বিভাগীয় শহরে এ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন। সকাল থেকেই কৃতী শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। নির্ধারিত বুথ থেকে ক্রেস্ট, স্ন্যাকস ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।

রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল থেকে পাস করা শিক্ষার্থী আরেফা খানম এসেছেন এক দিনের জন্য চাপমুক্ত থাকতে। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা পড়াশোনার চাপে বেড়ানোর সুযোগ হয় না। তাই আজকের দিন বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে কাটাতে চান। কুড়িগ্রামের আবদুর রহিম এসএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। প্রথম আলোর সংবর্ধনার কথা উল্লেখ করে বলেন, এইচএসসির কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার এই আয়োজন তাঁর ভালো লাগছে।

রংপুরে ‘প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি-প্রথম আলো কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব-২০২৫’-এ আগত অতিথিরা। শুক্রবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
  • জানা গেল রাজামৌলির ছবির নাম, থাকছেন মহেশ বাবু-প্রিয়াঙ্কা
  • দেশের প্রথম নারী এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদারের জয়ের গল্প আসছে
  • নানা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আদি নববর্ষ’ উদ্‌যাপন
  • মুগ্ধ করল নবান্ন উৎসবে ধান কাটার প্রতিযোগিতা
  • নবান্নের পিঠায় সুবাসিত রাবি
  • ঘূর্ণির জাদুতে বিশ্বজয় 
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারুণ্যের উৎসব রোববার
  • পয়লা অগ্রহায়ণে ‘নববর্ষ’ উদ্‌যাপন করবে ডাকসু
  • দিনভর আনন্দ আয়োজনে সাফল্য উদ্‌যাপন