দোহারে বিএনপি নেতা হারুনকে গুলি করে হত্যা
Published: 2nd, July 2025 GMT
ঢাকার দোহার উপজেলায় বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদকে (৬৩) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলার বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিএনপি নেতা হারুন উপজেলার বাহ্রা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি নয়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সকালে নামাজ পড়ে বাড়ির পাশে নদীর ধারে ওয়াকওয়ে সড়কে হাঁটতে বের হলে মোটরসাইকেলে করে তিন যুবক এসে তাকে লক্ষ্য করে হঠাৎ গুলি শুরু করে। এসময় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজনকে এগিয়ে আসতে দেখে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।
এ সময়ে স্থানীয়রা তাকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.
নিহত হারুনের ভাতিজা মো. শাহিন আলম বলেন, প্রতিদিনের মতো ভোরে নামাজ শেষে চাচায় হাটঁতে বের হন। এসময় মোটরসাইকেলযোগে তিন যুবক এসে তাকে গুলি করে ফেলে চলে যায়। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তার পরিবারের সদস্যরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, বেশ কিছুদিন আগে তিনি স্থানীয়দের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নদীর বালু উত্তোলন বন্ধ করেন। এ নিয়ে প্রভাবশালীদের সঙ্গে তার বিরোধ হয়। প্রভাবশালীদের পথের কাঁটা হয়ে পড়ায় তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, কিছুদিন ধরে নয়াবাড়ীসহ দোহার উপজেলায় বিএনপির মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়। এতে সক্রিয় হয় দুটি গ্রুপ। নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে একে অপরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সেই জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে কি না খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে দোহার থানার ওসি মো. হাসান আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, নিহত হারুনুর রশিদের সঙ্গে পূর্বশত্রুতা আছে কি না এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বালু উত্তোলন ও আধিপত্য নিয়ে বিএনপির অপর একটি গ্রুপের যোগসাজশ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন ত দ হ র উপজ ল ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়িতে খালে মিলল এসএলআর রাইফেল, ম্যাগাজিন ও গুলি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের একটি খাল থেকে ১টি সেলফ লোডিং রাইফেল (এসএলআর) এবং ১৩টি গুলি উদ্ধার করেছে বিজিবি। আজ রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে এসব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার-৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম খায়রুল আলম বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের সীমান্ত পিলার-৩১ থেকে আনুমানিক ১০০ গজ পূর্ব দিকে শূন্যরেখা এলাকায় খালের মধ্যে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরতে গেলে পানির নিচে অস্ত্র ও গুলি দেখতে পান। পরে বিষয়টি তাঁরা বিজিবিকে জানান। তৎক্ষণাৎ বিজিবির ঘুমধুম সীমান্তচৌকির টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ১টি এসএলআর, ম্যাগাজিনসহ ১৩টি গুলি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার-৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম খায়রুল আলম বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।