সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশিদের মালয়েশিয়া সরকার ফেরত পাঠাবে
Published: 3rd, July 2025 GMT
মালয়েশিয়ায় উগ্রবাদী মতাদর্শ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে অধিকাংশ ব্যক্তিকে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, “মালয়েশিয়ায় আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে সেখানে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
মাহাথিরকে শততম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
আসিয়ানকে ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলার আহ্বান মালয়েশিয়ার
বিষয়টি অন্যান্য দেশে ভিসা পেতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তাদের ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “সম্ভবত যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশকে ফেরত পাঠানো হবে। তারা বাংলাদেশে ফিরে আসার পর এখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে তদন্ত করবে।”
মালয়েশিয়ার জোহর, সেলাঙ্গরসহ বিভিন্ন স্থানে গত ২৪ জুন থেকে পরিচালিত নিরাপত্তা অভিযানে এই ৩৬ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
দেশটির গণমাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতন ইসমাইলের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তার ৩৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ষষ্ঠ অধ্যায় অনুযায়ী সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এই ৫ জনকে এরই মধ্যে শাহ আলম ও জোহর বাহরুর সেশন কোর্টে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদের মধ্যে ১৫ জনকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য ১৬ জনের এই উগ্রবাদী তৎপরতার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আরো তদন্ত হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের কেউ কেউ ইসলামিক স্টেট (আইএস) মতাদর্শের ভিত্তিতে উগ্রবাদী বিশ্বাসকে মালয়েশিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন-এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) একটি মিশন শাখা হতে যাচ্ছে। এটি এখনো খসড়া পর্যায়ে আছে। খসড়া আদান-প্রদান শেষ হওয়ার পরে যখন একটা এগ্রিড ড্রাফটে আসবে যেটাতে একটি শব্দও পরিবর্তন করতে হবে না, তখন আমরা সই করব। তখন আপনাদের বিস্তারিত বলতে পারব। তার আগে খসড়া পর্যায়ে আমাদের এটা নিয়ে আলাপ না করাই ভালো।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে তালবাহানার কিছু নেই। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধানের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।”
তিনি আরো বলেন, “তিন বছরের জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে দুইপক্ষ একমত হলে চূড়ান্ত চুক্তি করা হবে। তবে পরবর্তী সরকার চাইলে এটির মেয়াদ বাড়াতে পারবে।”
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স উপদ ষ ট পরর ষ ট র উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।
আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগেএ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।
আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে