আজ ৪ জুলাই, শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর বাংলাদেশ টেলিভিশনে [বিটিভি] প্রচার হবে পদ্মা-মেঘনা-ধলেশ্বরী-ইছামতি নদী বিধৌত মুন্সীগঞ্জে ধারণ করা ইত্যাদি’র একটি সংকলিত পর্ব। দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণস্থান মুন্সীগঞ্জকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে ৪ জন দর্শক নির্বাচন করা হয়। ২য় পর্বে নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন পূর্ব প্রজন্মের শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ এবং বর্তমান প্রজন্মের শিল্পী বালাম। যাদের বাড়িও মুন্সীগঞ্জে। 
২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রচারিত ইত্যাদির এই পর্বটি ইছামতি নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী প্রত্ন নিদর্শন ইদ্রাকপুর কেল্লার সামনে-পুকুরের মাঝখানে, কেল্লার আদলে তৈরি করা দৃষ্টিনন্দন ভাসমান মঞ্চের সামনে কয়েক হাজার দর্শক নিয়ে ধারণ করা হয়েছিল।  

এই পর্বে মুন্সীগঞ্জের সন্তান জনপ্রিয় শিল্পী তাহসান পরিবেশন করেছেন একটি নূতন গান। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাজিদ সরকার। আমাদের লোকগানের সম্রাট আবদুল আলীমের গাওয়া একটি গান নূতন সংগীতায়োজনে গেয়েছেন সৈকত শিশু জাহিদ, বাদশা আর শাহজাহান। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ মাহমুদ। রয়েছে মুন্সীগঞ্জ জেলাকে নিয়ে একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে স্থানীয় প্রায় শতাধিক নৃত্যশিল্পীর নাচ। পদ্মাপাড়ে ধারণকৃত গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল ও সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। 

এছাড়াও এবারের সংকলিত এই পর্বে ইত্যাদির ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রচারিত ইত্যাদি থেকে কণ্ঠশিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবুর একটি দেশের গান সংকলন করা হয়েছে। গানটির কথা লিখেছেন খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এবং সুর করেছেন আলী আকবর রুপু।

বরাবরের মতো এবারের পর্বেও রয়েছে কয়েকটি হৃদয় ছোঁয়া প্রতিবেদন। রয়েছে মুন্সীগঞ্জের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিভিন্ন প্রত্ন নিদর্শন এবং কীর্তিমান ব্যক্তিদের উপর তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। রয়েছে মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যে পরিণত হওয়া টিনের ঘর নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার একটি গ্রামের ৪ বোনের জীবন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মাছ ধরে যারা জীবিকা নির্বাহ করেন। ইত্যাদিতেই প্রথম পরিবেশিত হয় বিশ্বের বিস্ময়কর বিষয়গুলোর উপর বিদেশি প্রতিবেদন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বে রয়েছে আমেরিকার শিকাগো শহরের উপর একটি প্রতিবেদন।

আমাদের জীবনে গাছের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কারণ গাছ আমাদের অক্সিজেন দিয়ে বাঁচতে সাহায্য করে। ১৫/২০ বছর আগে ইত্যাদিতে দেয়া সেই গাছগুলো দেখতে চেয়ে অনুরোধও করেছেন কেউ কেউ। এবারের পর্বে দেখা যাবে দর্শকপর্বে দর্শকদের উপহার দেয়া গাছের বর্তমান অবস্থা।
নানান সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে ইত্যাদির বিভিন্ন পর্ব থেকে সংকলন করা বেশ কিছু বিদ্রুপাত্মক নাট্যাংশসহ এবারও যথারীতি রয়েছে নানি-নাতি ও চিঠিপত্র বিভাগ। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স গ ত য় জন কর ছ ন র পর ব গ নট র র একট

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ