জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তারসহ জাপার কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি রাশেদ খাঁনের
Published: 4th, July 2025 GMT
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তারসহ দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। তিনি বলেন, হাসিনার আমলে আমরা মামলা খেয়েছি। এখনও যদি মামলা খেতে হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? আজকে নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের ইট খুলে আনতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে তাদের এই নির্দেশনা দিতে পারি না। কিন্তু পদক্ষেপ না নিলে কতসময় তাদেরকে থামিয়ে রাখবো।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে বলবো, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিন। তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করুন। অন্যথায় জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে নুরুল হুদার মতো মব নেমে আসলে, তখন তার দায় জনগনকে দিতে পারবেন না। সুতরাং, জনগণ আইন হাতে তুলে নেওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ, জাপা ও ১৪ দলের কালপ্রিটদের ধরুন।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরানা পল্টন আলরাজি কমপ্লেক্স সামনে আয়োজিত মশাল মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশালে আদালতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো.
রাশেদ খাঁন বলেন, ‘‘এখনও কেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হচ্ছে না? কারা জাতীয় পার্টি ও জিএম কাদেরকে প্রটেকশন (সুরক্ষা) দিচ্ছে। জিএম কাদের কি হাসিনার চেয়েও শক্তিশালী? হাসিনা দিল্লি পালিয়ে গেছে, আর ভারতের এজেন্ট জিএম কাদের বাংলাদেশে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জনগণ স্লোগান শুরু করেছে, ‘আপা গেছে যে পথে, জাপা যাবে সেই পথে।’ মানে জাপাকে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, ‘মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে মামলা গ্রহণের নির্দেশদাতা ম্যাজিস্ট্রেটকেও প্রত্যাহার করতে হবে। জাপা ও আপার দোসর না হলে ২৪–এর বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে এই মামলা নেওয়ার কথা তিনি বলতে পারতেন না। আমি ইতোমধ্যে আইন উপদেষ্টাকে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে অবহিত করেছি।’
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দের দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু, রবিউল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি, যুব অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি শাকিল আহমেদ তিয়াস প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ এম ক দ র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনাক্ষী আর চুপ থাকতে পারলেন না
এরই মধ্যে জহির ইকবালের সঙ্গে সোনাক্ষী সিনহার বিয়ের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। তারপরও কিছু মানুষ তাদের সম্পর্ক সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি। ভিন্ন ধর্মে বিয়ের কারণে এখনও তীর্যক মন্তব্য শুনতে হচ্ছে সোনাক্ষীকে। নেটিজেনদের অনেকে সামাজিকমাধ্যমে বলিউড অভিনেত্রীর এই বিয়ে নিয়ে প্রতিনিয়ত নানারকম মন্তব্য করে চলেছেন। এতদিন বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ধরে রেখেছিল অভিনেত্রী। কিন্তু এবার আর পারলেন না, রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়লেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ও আজকাল জানিয়েছে, মুসলিম ধর্মাবলম্বী অভিনেতা জহির ইকবালকে বিয়ের পর থেকেই সোনাক্ষী নেটিজেনদের তীর্যক মন্তব্যের শিকার হয়ে আসছেন। এমনকি পরিবারেও নাকি ভিন্ন ধর্মের এই বিয়ে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি মেনে নিতে শুরু করেছেন। কিন্তু কিছু নিম্নরুচির মানুষ এ নিয়ে মন্তব্য করা ছাড়েনি। আর সেটি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না এই বলিউড তারকা।
এ নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী বলেছেন, সে ‘এখনও আমাদের দিকে নিম্নরুচির কিছু মন্তব্য ধেয়ে আসে। সারা দুনিয়ার লোকজন আমাদের ভিন্ন ধর্মের বিয়ে নিয়ে নানা কথা বলেছে। তার মধ্যেও আমি ও জহির নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেছি। বাইরের লোকের কাছ থেকে আমাদের মান্যতার কোনো প্রয়োজন নেই।’
জহিরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সোনাক্ষী আরও বলেছেন, ‘আমরা জানি, আমাদের কাছে কী আছে। আমাদের মধ্যে যা রয়েছে, তার পুরোটাই খুব পবিত্র বলে আমরা মনে করি। আমাদের মধ্যে যা রয়েছে, সেটিকে আমরা রক্ষা করি যাবতীয় নেতিবাচকতা এড়িয়ে। আমরা আমাদের সম্পর্ককে উদযাপন করি, উপভোগ করি, খুব ভালোবাসি এবং তা গর্বের সঙ্গে দুনিয়ার কাছে প্রকাশ করি।’
জহিরের সঙ্গে সাত বছরের সম্পর্ক থাকার পরে বিয়ে করেন সোনাক্ষী। তাদের সম্পর্কের প্রতিটি মুহূর্তকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। বিয়ে নিয়ে সোনাক্ষী এও বলেছেন, ‘আমরা ঠিক আমাদের মতো করেই বিয়েটা করেছি। ঠিক যেমন চেয়েছিলাম, সেভাবেই বিয়েটা করেছিলাম। পরিকল্পনা ছাড়াই সেদিন যে মুহূর্তগুলো বন্দি করা হয়েছিল, সেগুলি আমাদের কাছে খুবই বিশেষ রকমের।’