জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তারসহ দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। তিনি বলেন, হাসিনার আমলে আমরা মামলা খেয়েছি। এখনও যদি মামলা খেতে হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? আজকে নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের ইট খুলে আনতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে তাদের এই নির্দেশনা দিতে পারি না। কিন্তু পদক্ষেপ না নিলে কতসময় তাদেরকে থামিয়ে রাখবো।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে বলবো, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিন। তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করুন। অন্যথায় জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে নুরুল হুদার মতো মব নেমে আসলে, তখন তার দায় জনগনকে দিতে পারবেন না। সুতরাং, জনগণ আইন হাতে তুলে নেওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ, জাপা ও ১৪ দলের কালপ্রিটদের ধরুন।’

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরানা পল্টন আলরাজি কমপ্লেক্স সামনে আয়োজিত মশাল মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশালে আদালতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো.

রাশেদ খাঁনসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির মামলা গ্রহণের নির্দেশের প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পল্টন, পানির টাঙ্কি ঘুরে এসে পুনরায় আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।

রাশেদ খাঁন বলেন, ‘‘এখনও কেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হচ্ছে না? কারা জাতীয় পার্টি ও জিএম কাদেরকে প্রটেকশন (সুরক্ষা) দিচ্ছে। জিএম কাদের কি হাসিনার চেয়েও শক্তিশালী? হাসিনা দিল্লি পালিয়ে গেছে, আর ভারতের এজেন্ট জিএম কাদের বাংলাদেশে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জনগণ স্লোগান শুরু করেছে, ‘আপা গেছে যে পথে, জাপা যাবে সেই পথে।’ মানে জাপাকে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, ‘মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে মামলা গ্রহণের নির্দেশদাতা ম্যাজিস্ট্রেটকেও প্রত্যাহার করতে হবে। জাপা ও আপার দোসর না হলে ২৪–এর বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে এই মামলা নেওয়ার কথা তিনি বলতে পারতেন না। আমি ইতোমধ্যে আইন উপদেষ্টাকে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে অবহিত করেছি।’

গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দের দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু, রবিউল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি, যুব অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি শাকিল আহমেদ তিয়াস প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ এম ক দ র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ জনগণের নয়, কিছু উপদেষ্টার প্রয়োজন: হাফিজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। আমি মনে করি—জুলাই সনদ দেশের জনগণের প্রয়োজন নেই। কিছু ব্যক্তি যারা উপদেষ্টা হয়েছেন, যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বসবাস করতে গেলে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়বেন; তাদের জন্য হয়তো প্রয়োজন আছে।’’

শনিবার (১ নভেম্বর) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আয়োজনে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মামুন, সম্পাদক রিটন

একাত্তরের গণহত্যার জন্য জামায়াত নিষিদ্ধ চান আলাল

হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘এই ধরনের সনদের আমাদের প্রয়োজন নেই। আমাদের প্রয়োজন–একটা পার্লামেন্ট। যেখানে আগামী দিনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। যেই পার্লামেন্ট এই সনদকে বাস্তবায়িত করবে এবং আগামী গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করতে সক্ষম হবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে প্রয়োজন একটি নির্বাচন। যেখানে জনগণ প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করতে পারবে। আমরা আশা করব, আগামীতে একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হবে। এই নির্বাচনে যারা বিজয়ী হবেন, জনগণের প্রতিনিধি হবেন; তারাই জুলাই সনদকে সমর্থন করবেন।’’

‘‘আমার দল বিএনপি জুলাই সনদকে সমর্থন করে, আমরাও এটি সমর্থন করতে বাধ্য। কিন্তু, এটার মধ্যে এমন জিনিস ঢোকাবেন না, যেটি নিয়ে আগে ঐকমত্য কমিশনের মিটিংয়ে আলোচনা হয়নি।’’- যোগ করেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘পিআর নিয়ে কথা হচ্ছে। দেশের জনগণকে জিজ্ঞেস করেন, কেউ পিআর চিনেও না। পিআর কেউ চায়ও না। আমরা শত বছর ধরে একজন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করে আসছি। তারা (পিআর দাবি করা দলগুলো) ব্যক্তির কাছ থেকে, ভোটারের কাছ থেকে ক্ষমতা তুলে নিয়ে একটা রাজনৈতিক দলের কাছে সমর্পণ করতে চায়। আমরা চাই, বর্তমান যে ব্যবস্থায় নির্বাচন হচ্ছে, সেই ব্যবস্থার মাধ্যমে যাতে নির্বাচন হয়।’’

হাফিজ উদ্দিন আরো বলেন, ‘‘আমাদের একটা প্রতিবেশী রাষ্ট্র আছে, যারা চায় না বাংলাদেশ স্বনির্ভর হোক। নিজের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষত থাকুক, এটা তারা চায় না। তারা আশ্রয় দিয়েছে মাফিয়া শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনা সেখানে বসে কীভাবে বাংলাদেশে নাশকতা করা যায়, সে বিষয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। কলকাতায় তারা অফিস খুলেছেন। আমি তাদেরকে একটা পরামর্শ দেব। শুধু কলকাতা নয়, ভারতের প্রত্যেকটা প্রদেশে আপনারা একটা করে অফিস খুলেন। ভারতের কাছ থেকে সনদ নেন। তারপরে ভারতের রাজনীতিতে আপনারা মিশে যান। বাংলাদেশে আপনাদের কোনো প্রয়োজন নেই।’’

ঢাকা/রায়হান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ জনগণের নয়, কিছু উপদেষ্টার প্রয়োজন: হাফিজ
  • জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিতে সংগ্রাম, শপথ যুব সংসদের সদস্যদের
  • বন্দরে বিএনপি নেতা তাওলাদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম
  • বিএনপি ও জামায়াত কে কোন ফ্যাক্টরে এগিয়ে
  • অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে: ফখরুল
  • সরকার নিরপেক্ষতা হারালে জনগণ মাঠে নামবে: তাহের
  • সংস্কার ইস্যুতে সব দল ঐক্যবদ্ধ থাকলেও বিএনপি অবস্থান পরিবর্তন করে
  • বিএনপি-জামায়াত দেশকে অন্য এক সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
  • গণঅধিকার পরিষদের গোপালগঞ্জ শাখার সভাপতিকে অব্যাহতি
  • জনগণের সঙ্গে এটা প্রতারণা: মির্জা ফখরুল