সিজিএসের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক পারভেজ করিম
Published: 7th, July 2025 GMT
গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকারভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন টেলিভিশন উপস্থাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিল্লুর রহমান। অন্যদিকে, সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে অর্থনীতিবিদ ও গবেষক পারভেজ করিম আব্বাসীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সিজিএস।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৫ জুলাই সিজিএসের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সবার সম্মতিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে টেলিভিশন উপস্থাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিল্লুর রহমান এবং নির্বাহী পরিচালক হিসেবে অর্থনীতিবিদ ও গবেষক পারভেজ করিম আব্বাসীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নতুন নেতৃত্বের অধীনে সিজিএস ভবিষ্যতেও গবেষণা কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কার্যকরভাবে উপস্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করে জিল্লুর রহমান বলেন, সিজিএস দীর্ঘ সময় ধরে নানা প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জের মধ্যেও মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণাসহ নানা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় আমরা বিশ্বাস করি, তথ্যভিত্তিক গবেষণা, নীতিগত চিন্তা এবং সংলাপের মাধ্যমে সিজিএস একটি গণতান্ত্রিক, অংশগ্রহণমূলক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র নির্মাণে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
অন্যদিকে, পারভেজ করিম আব্বাসী ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সিজিএসের ‘সিনিয়র রিসার্চ ফেলো’ হিসেবে ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
সিজিএস জানায়, নতুন পরিচালনা পর্ষদে অন্য সদস্যরা হলেন— নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার কর্মী মুনিরা খান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স জ এস জ ল ল র রহম ন স জ এস র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব