১৬ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় ২৮৮ কোটি টাকা
Published: 8th, July 2025 GMT
টার্নকি ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়নসহ মোট ১৬টি ৩৩/১১ কেভি এআইএস সাবষ্টেশন নির্মাণের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২৮৮ কোটি ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৮ টাকা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, টার্নকি ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়নসহ ৮টি নতুন ৩৩/১১ কেভি এআইএস সাবষ্টেশন ডিজাইন, সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং এবং কমিশনিং কাজের ক্রয় প্রস্তাব (ডব্লিউপি-২ লট-১) অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন, (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ)’ (বিশেষ সংশোধিত) প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউপি-২, লট-১ এর আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্র-এর পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেক্ট্রিক এন্টাপ্রাইজ লিমিটেড এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৪৪ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ২৭ টাকা।
সভা সূত্রে জানা যায়, টার্নকি ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়নসহ ৮টি নতুন ৩৩/১১ কেভি এআইএস সাবষ্টেশন ডিজাইন, সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং এবং কমিশনিং কাজের ক্রয় প্রস্তাব (ডব্লিউপি-২ লট-২) অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন, (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ)’ (বিশেষ সংশোধিত) প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউপি-২, লট-১ এর আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্র-এর পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেক্ট্রিক এন্টাপ্রাইজ লিমিটেড এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি ২৩ লাখ ৮৩ হাজার ২৫১টাকা।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র সপনস ভ প রস ত ব প রকল প দরপত র
এছাড়াও পড়ুন:
সেবায় দুর্ভোগ, ৬ মাসেও হস্তান্তর হয়নি নতুন ভবন
৯ তলাবিশিষ্ট সুবিশাল ভবন নির্মাণের ছয় মাস পেরিয়েছে। এখনও স্থাপন করা হয়নি একটি লিফটও। যে কারণে ভবনটি হস্তান্তর করেনি গণপূর্ত বিভাগ। ফলে চালু করা যায়নি পিরোজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের কার্যক্রম। এতে করে উন্নত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত প্রায় ১৮ লাখ মানুষ। চিকিৎসার জন্য তাদের যেতে হচ্ছে খুলনা-বরিশালসহ দেশের বড় বড় শহরের হাসপাতালে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হওয়ার সময় ১৯৮৬ সালে ৩১ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল। ১৯৯৭ সালে নতুন ভবনে চালু হয় ৫০ শয্যার হাসপাতাল। ২০০৫ সালে সেটি ১০০ শয্যার উন্নীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। নদীবেষ্টিত পিরোজপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকই এখানে থাকতে চাইতেন না। জেলার মানুষকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে হতো খুলনা বা বরিশালে। এখন দিনে সহস্রাধিক রোগী আসেন।
সূত্র জানায়, ১০০ শয্যার হাসপাতালে অধিকাংশ সময়ই রোগী ভর্তি থাকেন প্রায় দ্বিগুণ। শয্যা না পেয়ে রোগীদের মেঝে ও বারান্দায় থাকতে হয়। প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হতে হয় রোগী ও তার স্বজনের। বাড়তি চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসক-নার্সসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরও।
পিরোজপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেখপাড়ার বাসিন্দা মনিরুল আলম সেলিম বলেন, বর্তমান ১০০ শয্যার হাসপাতালে ডাক্তারের সংকট। সামান্য চিকিৎসা দিয়েই খুলনা বা বরিশাল পাঠিয়ে দেওয়া হয় রোগীকে। এলাকার গরিব ও সাধারণ মানুষ উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতাল-সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হোটেল ব্যবসায়ী পারভেজ আকন বলেন, জেলা হাসপাতালের নতুন ভবন মাসের পর মাস পড়ে আছে। তাই রোগীরা উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোগী বাড়ায় ২০১৭ সালে এই হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০১৯ সালে ১২ তলা ভিতবিশিষ্ট ভবন নির্মাণ শুরু করে পিরোজপুর গণপূর্ত বিভাগ। শুরুতে সাততলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন ও বরাদ্দ পেয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়। পরে আরও দুটি তলা সম্প্রসারণ করে ৯ তলাবিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হয়।
প্রথম দরপত্র অনুযায়ী ৪০ কোটি টাকার কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বঙ্গ বিল্ডার্স লিমিটেড। ৬ কোটি টাকার অষ্টমতলা ও ৫ কোটি টাকার নবম তলার নির্মাণের কাজ করে খান বিল্ডার্স ও কহিনূর কনস্ট্রাকশন। নবনির্মিত আধুনিক এ ভবনে সিসিইউ, আইসিইউ বিভাগসহ শতাধিক কেবিন আছে। পাশাপাশি পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ইউনিট, করোনা ও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর আলাদা ওয়ার্ড আছে। এই ভবনে চারটি লিফটের জায়গা আছে।
শুরুতে ২০২০ সালের জুনে ভবনের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে তিন দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয় ভবন নির্মাণের মূল কাজ। লিফট স্থাপন না করায় ছয় মাসেও ভবনটি হস্তান্তর হচ্ছে না।
জেলা গণপূর্ত বিভাগ সূত্রের ভাষ্য, নতুন ভবনে চারটি আধুনিক লিফট স্থাপনের জন্য ২০২২ সালে চার দফায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। কোনো ঠিকাদারই এ দরপত্রে অংশ নেননি। ওই সময়ে লিফট স্থাপনে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। বাজারদরের চেয়ে বরাদ্দ অনেক কম থাকায় ঠিকাদাররা আগ্রহী হননি বলেও জানায় সূত্রটি।
এ বিষয়ে পিরোজপুর গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) মো. রাইসুল ইসলাম জানান, লিফট স্থাপনের জন্য ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রাক্কলন জমা দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বরাদ্দ পেলে নতুন দরপত্র আহ্বান করবেন। এ ছাড়াও হাসপাতালের সীমানা দেয়াল নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
নতুন ভবনে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা গেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ অন্যান্য জনবলও পাওয়া যাবে বলে মনে করেন সিভিল সার্জন মো. মতিউর রহমান। তিনি বলেন, এখানে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম এলে জেলাবাসীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে হবে না।