মেট্রোরেলের ছাদে কিশোর উঠে পড়া স্যাবোটাজ কি না, তদন্ত চলছে: ডিএমটিসিএল
Published: 1st, December 2025 GMT
মেট্রোরেলের ছাদে কিশোর উঠে পড়ার ঘটনা ‘স্যাবোটাজ’ কিনা তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে দেখছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ছাদে ওঠার ঘটনায় একজনকে পাওয়া গেলেও আরও কেউ সঙ্গে ছিল কি না—তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।
আজ সোমবার সকালে উত্তরার দিয়াবাড়িতে ডিএমটিসিএলের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির মাসিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুনমেট্রোরেলের ছাদে উঠল এক কিশোর, ট্রেন চলাচল বন্ধ১৭ ঘণ্টা আগেনিরাপত্তা বাড়াতে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোর নিচে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানান ফারুক আহমেদ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এতে কোনো ঘটনার উৎস বোঝা যাবে। স্যাবোটাজ আছে কি না-সেটাও বোঝা যাবে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঈশ্বরদীতে সংঘর্ষের ঘটনায় জামিন পেলেন জামায়াত প্রার্থী তালেব
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলায় জামিন পেয়েছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলসহ ৩২ নেতাকর্মী।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা আমলী আদালত-২ এ হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তারা। সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৩
পাবনা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ খান এহিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়। মামলায় জামায়াতে জেলা আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে মামলার সব আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।”
জামিন পাওয়ার পর পাবনা জামায়াত প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, “আমাদের আইনজীবীরা সত্য উদঘাটন করেছেন। তারা কোর্টকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি করার জন্য একজন এমপি প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। অসংখ্য গাড়ি ভাঙা হয়েছে, গুলি করা হয়েছে। আমাদের অনেক ভাইকে আহত করা হয়েছে।” এই মামলা দ্রুত প্রত্যাহার দাবি জানান তিনি।
গত ২৭ নভেম্বর বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। জামায়াতের দাবি, হামলার সময় ১০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং প্রায় ৪০টি মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায় বিএনপির কর্মীরা।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে জামায়াত ও বিএনপি। এর মধ্যে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধার ছেলে বাঁধন হাসান আলিমের করা মামলায় পাবনা-৪ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডলকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে।
অপরদিকে, ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে একই থানায় ৩৮ জন বিএনপির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধাকে। এই মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ