মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া চা বাগানে সেপটিক ট্যাংকে নেমে চার চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের ধারণা সেপটি ট্যাংকের বিষক্রিয়ায় তাদের  মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন শ্রীমঙ্গল থানার (ওসি) আমিনুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, “বুধবার রাত ২টার দিকে শ্রীমঙ্গলের হরিণছড়া চা বাগানে সেপটি ট্যাংকে নেমে চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। এছাড়া অসুস্থ অবস্থায় একজনকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”

সেপটিক ট্যাংকে নেমে মৃত চারজন হলেন- রানা নায়েক (১৭) শ্রাবণ নায়েশ (১৯) কৃষ্ণ রবিদাশ (২০) ও নিপেন ফুল মালি (২৭) এরা সবাই শ্রীমঙ্গল হরিণছড়া চা বাগানের চা শ্রমিকের সন্তান।

এ ঘটনায় রবি বুনার্জী (২০) নামের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফিনলে কোম্পানির আওতাধীন হরিণছড়া চা বাগানে বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা  তাদেরকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট  জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল  হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.

সব্যসাচী পাল তমাল বলেন, “যে চার জনকে রাতে আমাদের কাছে নিয়ে আসা হলেছিল, তারা সবাই মৃত ছিল। আমরা রবি বুনার্জী নামের একজনকে  প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করি। স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতে জেনেছি, ওরা সেপটিক ট্যাংকে নেমেছিল। বিষয়টি ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।”
 

ঢাকা/আজিজ/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লক্ষ্মীপুরে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদ ভুক্তভোগী পরিবারের
  • মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা